সাপ একমাত্র বেজিকেই ভয় পায়। তারও একটা বিশেষ কারণ
রয়েছে তা হল বেজি এক ধরণের বিশেষ গাছের শেকড় খেয়ে সাপের উপর আক্রমণ
করে। তাই বেজিকে সাপ ছোবল দিলেও সে মারা যায় না। সেরকমই
বেজির মতো ঘোড়াও সাপের কামড়ে মারা যায় না। এর বৈজ্ঞানিক কারণ হল সাপের ছোবলে
ঘোড়ার শরীরে তৈরি হয় বিষ প্রতিরোধী এন্টি ভ্যানম।
দীর্ঘদিন ধরে সাপের বিষ থেকে মানুষের
রক্ষার ক্ষেত্রে বিষ প্রতিষেধক তৈরি করা হয়ে থাকে ঘোড়ার রক্তের সিরাম দিয়ে। একটি
ঘোড়াকে যদি সাপে ছোবল মারে তবে ঘোড়ার এতে কিছুই হয় না। সাধারণত খুব বেশি বিষাক্ত
সাপের ছোবলে ঘোড়া দুই এক দিন একটু দুর্বল থাকে।
কুকুরা কেন মানুষের শরীর চাটে, জেনে নিন নেপথ্য কারণ
ঘোড়াকে সাপ ছোবল দিলে ঘোড়ার শরীরে
তৈরি হয় বিশেষ বিষ প্রতিরোধী এন্টি ভ্যানম। এই এন্টি ভ্যানম সাপের বিষের
কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে কাজ করে। ফলে ঘোড়ার শরীরে তৈরি হওয়া এই এন্টি ভ্যানম
মানুষকে যদি সাপে ছোবল দেয় তবে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
মূলত, সাপের বিষ প্রতিরোধে তৈরি হওয়া এন্টি ভ্যানম যা মানুষকে সাপে কামড় দিলে
প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তা তৈরি করতে সমগ্র
বিশ্বজুড়ে রয়েছে অসংখ্য সাপের বিষ প্রতিষেধক তৈরির এন্টি ভ্যানম কোম্পানি। এদের
মূল কাজ হচ্ছে ঘোড়ার শরীরে সাপের বিষ প্রয়োগ এবং পরবর্তীতে ঘোড়ার শরীরে তৈরি
হওয়া এন্টি ভ্যানম থেকে মানুষের জন্য সাপের ছোবলের বিষ প্রতিরোধী ভ্যাক্সিন
প্রস্তুত করা।
গুলিতে ঝাঁঝরা সরবজিৎ খুনে অভিযুক্ত পাকিস্তানি
ঘোড়ার শরীরে সাপের বিষ প্রয়োগ করলে
দুই এক দিনের মাঝেই ঘোড়ার রক্তে ঐ বিষ বিনষ্টকারী এন্টি ভ্যানম তৈরি হয়। এসময়
ভ্যাক্সিন তৈরিকারী কোম্জলের ঐ সব ঘোড়া থেকে রক্ত সংগ্রহ করে রক্তের লোহিত এবং
শ্বেত রক্ত কনিকা আলাদা করে শুধু সিরামটাই নেয়। এই সিরাম পরবর্তীতে আরও
প্রক্রিয়াজাত হয়ে তৈরি হয় সাপের বিষ প্রতিরোধী এন্টি ভ্যাক্সিন হিসেবে।