গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল সরবজিৎ সিং 'খুনের'
অন্যতম অভিযুক্ত আমির সরফরাজ তাম্বা। কে বা কারা তাকে গুলি করেছে তা
এখনও জানা যায়নি। ভারতের নাগরিক সরবজিৎ সিং পাকিস্তান জেলে বন্দি ছিলেন। সেখানে
বন্দি থাকাকালীন অবস্থায় তাঁর উপর চড়াও হয়েছিল সহবন্দিরা। সেই হামলার অন্যতম
অভিযুক্ত তাম্বা ছিল লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদেরও ঘনিষ্ঠ। রবিবার তাকেই
লাহোরে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজেরা গুলি পয়েন্ট রেঞ্জ থেকে গুলি করে।
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ, প্রচুর নিয়োগ করছে টিসিএস
লাহৌরের ইসলামপুরা এলাকার ঘটনাটি ঘটে। একদল বন্দুকবাজ
বাইকে চেপে এসে তাম্বার উপর হঠাৎ করে গুলি চালিয়ে দেয়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাম্বাকে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, তার শরীরে বুলেটের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। ১৯৭৯ সালে
লাহোরে জন্মেছিল তাম্বা। লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের অত্যন্ত কাছের লোক ছিল সে।
Lok Sabha Election 2024: এবার কেষ্টহীন গড়ে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী, ভোটের আগে কী দাওয়াই দেবেন তিনি, তাকিয়ে রয়েছেন দলের অনুগামীরা
লাহোরের জিন্না হাসপাতালে ২০১৩ সালের ২ মে কার্ডিয়াক
অ্যারেস্টে মারা যান সরবজিৎ। তার আগে সপ্তাহখানেক কোমায় ছিলেন তিনি। কোট লাখপত
জেলে বন্দি থাকাকালীন তার উপর চড়াও হয়েছিল সহবন্দিরা। সেই হামলাকারীদের অন্যতম ছিল
তাম্বা। ইট এবং লোহার রড দিয়ে সরবজিতকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে খবর। নব্বইয়ের
দশকে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে একাধিক বোমা হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম
জড়িয়েছিল সরবজিতের। মৃত্যুদণ্ডও হয় তাঁর। যদিও সরবজিতের পরিবারের দাবি, ভুল
পরিচয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে সাজা দেওযা হয়েছিল। ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে
ঢুকে পড়ে তিনি।
তাম্বার এমন মৃত্যুতে মোটেই সন্তুষ্ট নয় সরবজিৎ সিংয়ের মেয়ে স্বপনদীপ
কউর। তাঁর কথায়, 'প্রথমে স্বস্তি পেলেও পরে মনে হয়েছে, এটা তো ন্যায়বিচার হল না। আমার বাবাকে কেন খুন করা হল, সেই সংক্রান্ত একটা শুনানি চেয়েছিলাম।' স্বপনদীপের
ধারণা, তাম্বার হত্যার নেপথ্যে রয়েছে পাক-সরকার।