হিন্দু ধর্ম ও
বাস্তুতে ঝাড়ুর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করা হয়। ঝাড়ুকে দেবী লক্ষ্মীর
প্রতীক মনে করা হয়। বাস্তুতে ঝাড়ু সংক্রান্ত বিশেষ নিয়ম রয়েছে। বাস্তু মতে, যে বাড়িতে ঝাড়ুর
অসম্মান হয় সেখানে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন। ঝাড়ু সংক্রান্ত কিছু ভুল অগ্রগতিতে
বাধা দেয়।
lok sabha election 2024: ক্ষমতায় এসে ১০০ দিনে কী কী কাজ করবেন, স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
ঝাড়ু সংক্রান্ত বাস্তু নিয়ম
বাস্তুতে
ঝাড়ু ব্যবহারের বিশেষ নিয়ম রয়েছে। এই অনুসারে, বাড়ির কোনও সদস্য ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে কখনওই ঝাড়ু ব্যবহার করা উচিৎ নয়। বিশ্বাস করা হয় যে এতে যে ব্যক্তি
বাড়ির বাইরে যান তাঁর কাজে সফলতা আসে না। সুখ ও সমৃদ্ধিও কমে যায়।
ঝাড়ু সবসময়
এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে অন্যেরা তা দেখতে পাবে না। বাস্তুশাস্ত্রে সামনে
থেকে ঝাড়ু দেখা অশুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই ঘটনা অফিস বা বাড়ি
থেকে ইতিবাচক শক্তি কেড়ে নেয়। তাই ঝাড়ু খোলা জায়গায় রাখা উচিৎ নয়।
Lok Sabha Election 2024: লোকসভা নির্বাচনের আগে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন
ঝাড়ু ভেঙে
গেলে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে, না হলে বাড়িতে বাস্তু দোষ তৈরি হয়। ভাঙা ঝাড়ু ঘরে রাখলে নানা রকম ঝামেলা
হতে পারে।
ঝাঁট দেওয়ার
পর ঝাড়ু কখনওই দাঁড় করিয়ে রাখা উচিৎ নয়। এই কাজকে বাস্তুতে অত্যন্ত অশুভ মনে
করা হয়। ঝাড়ু দাঁড় করিয়ে রাখলে ঘরে অর্থের অভাব হয়, তাই সবসময় মাটিতে শুইয়ে রাখা উচিৎ। বাড়ির
পশ্চিম দিকে ঝাড়ু রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।
বাস্তু
অনুসারে, সন্ধ্যায়
কখনও ঘর বা অফিসে ঝাড়ু দেওয়া উচিৎ নয়। জনমানসে বিশ্বাস, এর ফলে ইতিবাচক শক্তি বেরিয়ে যায় এবং সুখ
ও সমৃদ্ধি কমতে শুরু করে। অতএব, সন্ধ্যা বা রাতে ঝাড়ু দেবেন না।
ঝাঁট দেওয়ার পর ঝাড়ু এমনভাবে শুইয়ে রাখুন যাতে কেউ তার উপর পা না ফেলে। পা
দিলে দেবী লক্ষ্মীর অপমান বলে মনে করা হয় এবং এটি করার ফলে বাড়ির আর্থিক অবস্থা
খারাপ হতে শুরু করে। ঝাড়ু কখনওই নোংরা জল দিয়ে ধোয়া উচিৎ নয়।