NDA
সরকারই যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসছে তা নিয়ে কার্যত নিশ্চিত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে আরও আশাবাদী এবারও তিনিই প্রধানমন্ত্রীর
সিংহাসনে বসতে চলেছেন। সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কী
কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, তা ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা করে
ফেলেছেন মোদি। সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে
নিজের ১০০ দিনের প্ল্যান সম্পর্কে জানিয়েওছেন তিনি।
বহু চেষ্টা করেও সরবজিৎকে ফেরাতে পারেনি ভারত, মৃত্যুর পর দেহ থেকে উধাও ছিল হৃদ্যন্ত্র, কিডনি-সহ বহু অঙ্গ
মোদির ১০০
দিনের প্ল্যান
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া ইন্টারভিউতে নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'এখন দেশে আদর্শ আচরণবিধি
চলছে। তাই আমি সেভাবে কোনও পরিকল্পনার ট্রেলার দিতে পারব না। তবে ধীরে ধীরে সমস্ত
পরিকল্পনাই স্পষ্ট হয়ে যাবে। জনগণের সামনে আনা হবে। আসলে আমি ১০০ দিনের একটি পরিকল্পনা
করেছি। ২০৪৭ সালের কথা মাথায় রেখে দু'বছর আগে থেকে পরিশ্রম
করতে শুরু করে দিয়েছি। লুকিয়ে রাখার মতো কিছু নেই। নির্বাচন শেষে আমার প্ল্যান
রাজ্যে রাজ্যে পাঠানো হবে। সবটাই গোটা দেশের উন্নয়নের জন্য। দেশবাসীর উন্নয়নের
জন্য।' নমোর সংযোজন, 'এমনটা নয়,
কেবলমাত্র BJP শাসিত রাজ্যের সঙ্গে আমার
পরিসকল্পনা শেয়ার করব। সমস্ত রাজ্যেই এই পরিকল্পনা পাঠানো হবে। এরপর নীতি আয়োগের
মিটিং ডাকব। তারপর সেই নিয়ে চর্চা চলবে। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে মতামত
নেব।'
অবশেষে হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট, তবে বেঁধে দেওয়া হল এই শর্তগুলি
তিন ভাগে তিনি সম্পূর্ণ চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত করবেন বলে জানান নরেন্দ্র মোদি।
প্রথমত, BJP-র
ইস্তেহারে উল্লেখ করা কোন কোন কাজ অবিলম্বে করা যায় তা বিবেচনা করে দেখবেন।
দ্বিতীয়ত, ২৫ বছরের ভিশন নিয়ে যা ভেবেছেন তা নিয়ে ধাপে ধাপে
পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করবেন এবং সর্বশেষে প্রথমে পাঁচ বছর আর তারও আগে ১০০ দিনে
কী কাজ সম্পন্ন করা যাবে, তার বিস্তারিত তালিকা তৈরি করে
ফেলবেন। নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'এক মিনিটও নষ্ট করতে পারব না।
ইতিমধ্যেই অফিসারদের কাজে লাগিয়ে রেখেছি। ২০১৯ সালের নির্বাচনের পরও ১০০ দিনের
মধ্যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, তিন তালাক বাতিল, ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি করে ফেলেছিলাম। পশু
টিকাকরণ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। এবারেও তালিকা প্রস্তুত
রয়েছে।'