সাধারণত
স্থূলকায় শরীরের জন্য দায়ী করা হয় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রাকে। তবে
বর্তমানে এর নতুন এক কারণ জানা গিয়েছে। মা-বাবার একমাত্র সন্তানরা ওবেসিটির শিকার
হয় বেশি। অন্য দিকে যাদের সহোদর অর্থাৎ আরও ভাই-বোন রয়েছে তাদের মধ্যে ওবেসিটির
হার তুলনামূলক কম। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কবে চালু হচ্ছে কালীঘাটের 'স্কাইওয়াক', জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
জার্মানির
১০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থীর ওপর জরিপ চালিয়ে গবেষণা করে এই তথ্য জানিয়েছেন একদল
গবেষক। এই গবেষণাতেও প্রাধান্য পেয়েছে ছেলেমেয়েদের একা বেড়ে ওঠার বিষয়টি।
অতিরিক্ত ওজনের প্রথম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে 'ফাস্ট ফুড' বা 'জাঙ্ক ফুড'।
যুক্তরাষ্ট্রের
পুষ্টিবিশারদ ড. নাটালি মুথ তার এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানান, যেসব সন্তানরা একা বেড়ে ওঠে তাদের খাদ্যাভ্যাস অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিনি এসব
সন্তানদের অভিহিত করেছেন 'সিঙ্গেলটন' নামে।
'বাংলা দিবস' পালনে কী আয়োজন, কমিশনের নির্দেশ মেনে শুরু হবে সরকারি অনুষ্ঠান
এই গবেষক
মনে করেন, সিঙ্গেলটন বাচ্চারা প্রচণ্ড একরোখা, বদরাগী ও জেদি হয়ে থাকে। যেহেতু তাদের অন্য কারোর সঙ্গে তাদের খেলনা বা খাবার
ভাগাভাগি করতে হয় না তাই এরা অন্য বাচ্চাদের তুলনায় স্বার্থপর হয় বেশি। মা-বাবার
পুরো পুরো মনোযোগ ও আদর নিয়ে বেড়ে ওঠার কারণে এসব শিশুর মধ্যে স্বেচ্ছাচারী আচরণ
বেশি দেখা যায়।
একক
সন্তানদের মধ্যে নিজের অজান্তেই ফাস্টফুডের প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে। আর মা-বাবাও
সন্তানের চাহিদা পূরণ করেন শতভাগ। সব যে খারাপ দিক তা নয়। এই গবেষণায় বলা হয়েছে
যেসব শিশুরা একা বেড়ে ওঠে, তারা অনেক বেশি মেধাবী হয়ে থাকে।
এরা চমৎকার ব্যক্তিসত্ত্বার অধিকারী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকে। একই কারণে এদের
অহমিকাবোধও থাকে বেশি।
এছাড়াও
বর্তমানে শিশুরা শারীরিক পরিশ্রমের খেলার চাইতে ইন্টারনেট গেমে বেশি আসক্ত হচ্ছে।
বিশেষত সিঙ্গেলটন শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা প্রকট।