পয়লা বৈশাখের আগের দিন অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই অনুষ্ঠান থেকেই মমতা জানালেন, এবার নতুন রূপে সেজে উঠবে কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple)!
বহুদিন ধরেই চলছিল কালীঘাট মন্দিরে চলছিল স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ। শনিবার মমতা জানালেন বহু প্রতীক্ষিত কালীঘাট 'স্কাইওয়াক' চালু হবে আগামী অগস্ট মাসে।
পুরোনো বছরের শেষ দিনে ভক্তি ভরে পুজো দেন মমতা। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় কালীঘাটে ছিলেন তিনি। পুজো শেষে মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। এরপরই মমতা বলেন, ''আমি প্রতি বছর পয়লা বৈশাখের আগের দিন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে আসি। এই যে কালীমন্দিরে কাজ চলছে, কুন্ডুপুকুর থেকে শুরু করে পুরোটাই। মন্দিরের ভিতরের সঙ্গে বাইরেও কাজ চলছে। স্কাইওয়াকের যে কাজ চলছে, তা অগস্ট মাসে শেষ হয়ে যাবে।''
তবে স্কাইওয়াক তৈরি হলেও তা চালু হতে কেন সময় লাগছে, সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''এখনও আমরা অফিশিয়ালি ওপেন এখনও করিনি। যত দিন স্কাইওয়াকের কাজটা হচ্ছে, তত দিন হকারদের এনে বসানো যাবে না। সমস্ত বিষয়টা একটা সিস্টেমে আনতে হবে।''
এদিন মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে সর্বক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর সাথেই ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি মন্দিরে মমতার সঙ্গে ছিলেন তার দুই ভ্রাতৃবধূ লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কালীঘাট মন্দিরে দেখা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা আজানিয়াকেও। তিনিও মমতার সাথেই এসেছিলেন।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। গত নভেম্বর মাসে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুকেশ আম্বানি জানিয়েছিলেন কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের দায়িত্ব নিতে চায় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (Reliance)। জানা গিয়েছিল, কালীঘাট মন্দিরের চূড়া মুড়ে ফেলা হচ্ছে খাঁটি সোনা (Gold) দিয়ে। যার পরিমাণ অন্তত ৫০ কেজি।
এদিন মন্দিরের সংস্কারের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ''মুকেশরা মন্দিরের চূড়াটা করেছে। পাশাপাশি আমরাও সংস্কারের কাজ করেছি। মন্দির সাজাতে আমাদেরও প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক করেছি। দিঘায় জগন্নাথধামও হচ্ছে। আমি চাই সকল ধর্মের মানুষ, সব সময় শান্তিতে থাকুন।''