রবিবার উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন
নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, ৪ জুনের পর দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত আরও জোরদার হবে।’’ ইঁটটি ছুঁড়লে পাটকেলটি যে খেতে হবে তা অবশ্য তিনি জানেন। সেই জন্যই সোমবার পুরুলিয়ার হুড়ার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী ও ভারতীয় জনতা পার্টিকে রীতিমতো
ধুইয়ে দিলেন। সোমবার রাইপুরে বাঁকুড়া
লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সমর্থনে সভা করেন তিনি।
এনআরসি হলে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে, বাংলায় লিখে চিঠি পাঠাল লস্কর-ই-তৈবা
সোমবার মোদিকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, “বলছে ৪ জুনের পর সব জেলে ভরব! এ কথা কি একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায়? গোটা দেশেই জেল বানান। এজেন্সি দিয়ে গোটা দেশকে জেল বানিয়ে রেখেছেন।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “হুমকি দেবেন না। আপনি কাকে ধমক দিচ্ছেন? আমরা
ভয় পাই না।”
সোমবার
চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন মমতা। তাঁর আরও সংযোজন, “বিজেপির এক
পকেটে এনআইএ, আর এক পকেটে সিবিআই।
এক পকেটে ইডি, আর এক পকেটে আইটি (আয়কর দফতর)।” হেমন্ত সোরেন এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ তুলে প্রতিবাদ জানিয়ে রীতিমতো ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর
উদ্দেশ্যে এদিন বলেছেন, “সবাই জেলে
থাকবে। কেবল মোদিবাবু বাইরে থাকবেন।”
পশ্চিমবঙ্গের ধানের গোলা বলা হয় কোন জেলাকে
জলপাইগুড়িতে সভা করে কেন
প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ নিয়ে মুখ খুললেন না, সোমবার সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন,
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ব্লকে
ব্লকে প্রচার করুন। আমার আপত্তি নেই। এটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আপনি
জলপাইগুড়ির সভা থেকে ওখানকার মানুষদের জন্য কি কোনও সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন?”
মমতা জানান, রাজ্য প্রশাসন ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে সেখানে ৫০০০ বাড়ি
তৈরির জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনে
আর্জি জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন না
থাকলে এক সেকেন্ডে করে দিতাম। বিজেপি বলছে, নির্বাচনের
আগে দেবে না।”