হোলিকা দহন দিয়ে শুরু হয় হোলি উৎসব, তারপরের দিন রং-আবীর
দিয়ে হোলি খেলা হয়। দোল বা হোলি নিয়ে অনেক ধরনের গল্প প্রচলিত আছে। এর মধ্যে একটির
সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছেন মহাদেব ও কামদেব।
দোলের দিন বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের আড্ডাতে জমে উঠুক এই স্ন্যাক্স
কিংবদন্তি অনুসারে, দেবী পার্বতী শিবকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তপস্যায়
মগ্ন শিব তাঁর প্রতি মনোযোগ দেননি। পার্বতীর এই প্রচেষ্টা দেখে প্রেমের দেবতা কামদেব
এগিয়ে এসে শিবের উপর পুষ্প বাণ নিক্ষেপ করেন, যার ফলে শিবের তপস্যা ভেঙে যায়। ফলে
শিব ক্রুদ্ধ হন এবং তিনি তার তৃতীয় চক্ষু মেলেন। সেখান থেকে নির্গত ক্রোধের আগুনে
কামদেব ভস্মীভূত হন।
এরপর শিব পার্বতীকে দেখে মুগ্ধ হন এবং তাঁকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করেন।
কিন্তু কামদেব ভস্মীভূত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী রতিকে অকাল বৈধব্য সহ্য করতে হয়েছিল।
তারপর রতি শিবের পূজা করেন। মহাদেব নিজগৃহে ফিরে গেলে রতি সেখানে নিজের দুঃখের কথা
বলেন।
Holi 2024: দাম্পত্য কলহ থেকে আর্থিক ক্ষতি, এবছরের দোল কাদের জন্য শুভ নয় দেখে নিন
অন্যদিকে পার্বতীর পূর্বজন্মের কথা মনে করে শম্ভূ দেখলেন কামদেব নির্দোষ।
পূর্বজন্মে দেবাদিদেবের স্ত্রী ছিলেন সতী। তাঁকে পিতা প্রজাপতি দকশের কাছে তীব্র অপ
মানিত হতে হয়েছিল। স্বামীনিন্দা শুনতে না পেরে দক্ষিণপুত্রী সতী আগুনে আত্মাহুতি দেন।
সেই সতীই পরবর্তী জন্মে পার্বতী রূপে হিমালয় ও মেনকার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। এই জন্মেও
তিনি শিবকেই স্বামী হিসাবে পেতে চেয়ে তাঁর ধ্যান করছিলেন। কামদেব তাঁকে সাহায্য করেছেন
মাত্র।
এরপর শিব কামদেবকে জীবিত করেন। তাঁর নতুন নাম দেন মনসিজ। বলেন, কামদেব এখন
দেহহীন। এদিকে সেদিন ছিল ফাল্গুনের পূর্ণিমা। মাঝরাতে সকলে হোলিকা দহন করছিল। সকালে
লালসার বিকৃতি আগুনে পুড়ে প্রেমের আকারে প্রকাশ পেয়েছিল। কামদেব দেহহীন আত্মায় নব
সৃষ্টির প্রেরণা জাগিয়ে বিজয় উদযাপন শুরু করেন। এই দিন হল হোলির দিন।