২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের
আগে চালু হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তৃণমূলের এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছিলেন
বহু মহিলা। এতদিন পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হত। এই বছর লোকসভা
নির্বাচনের আগে প্রকল্পে দেওয়া টাকার
পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ৫০০ টাকার বদলে একলাফে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে মাসে
মাসে। এপ্রিল মাসে ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে রাজ্যের মহিলা
উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে।
পশ্চিমবঙ্গের ধানের গোলা বলা হয় কোন জেলাকে
এর
মধ্যে আবার প্রতিশ্রুতির ঝুলি নিয়ে আসরে নামল কংগ্রেস। ভোট প্রচারে নেমে কংগ্রেস প্রার্থী দাবি করলেন, কেন্দ্রে যদি তাঁদের সরকার আসে, তাহলে মাসে মাসে ১ হাজার টাকা নয়, বরং ১০
হাজার টাকা করে দেওয়া হবে মহিলাদের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জায়গায় আসবে মহালক্ষ্মী ভাণ্ডার।
বীরভূমের সাঁইথিয়ায় এবার কংগ্রেসের হয়ে লড়াই
করছেন মিল্টন রশিদ। ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তিনি দাবি করেছেন, যদি লোকসভা নির্বাচনে জিতে কংগ্রেস কেন্দ্রে
সরকার গঠন করে, তাহলে বাংলার মহিলাদের মাসে মাসে ১০ হাজার
টাকা করে দেওয়ার জন্যে মহালক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করা হবে।
প্রতিদিন মাছ খাচ্ছেন, শরীরের পক্ষে ভাল না খারাপ জেনে নিন
তাঁর
কথায়, “ আপনারা সবাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা পাচ্ছেন।
আপনারা যাতে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মাসে ১০ হাজার টাকা করে পান, তার জন্য ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছি
আমরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আমাদের রাজ্যের মা-বোনেদের মাসে মাসে ১ হাজার
টাকা নয়, বরং ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। এটাই কংগ্রেস
এবং বামফ্রন্টের দাবি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন অসুবিধে নেই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী
তা বন্ধ করবেন না। যদি আমাদের ইন্ডিয়া সরকার যদি ক্ষমতায় আসে। যদি মোদী সরকারকে
তাড়াতে পারি, যদি রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করতে
পারি, তাহলে ভারতবর্ষের সব মা-বোনেরা বছরে ১ লাখ টাকা করে
পাবেন।”