লোকসভা নির্বাচনে বারাসত থেকে বিজেপির হয়ে লড়াই করছেন স্বপন মজুমদার। সমস্যা হল দলের মধ্যেই তাঁকে নিয়ে রয়েছে তীব্র বিরোধীতা। বিজেপি প্রার্থী ঘিসাবে বারাসতগেতাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন দলীয় কর্মীরা। স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছিল। এ বার দলের নেতা-নেত্রীরাই স্বপনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করলেন।

মহুয়ার ‘বসন্ত বোধহয় এসে গেল’ আজ অতীত, বৈশাখের আগেই তাপমাত্রা ৪০ ছোঁয়ার সম্ভাবনা

স্বপনের নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের একাংশকে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। একটি ভিডিওতে প্রকাশ্যে এসেছিল।  সেই ভিডিয়োয় এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের যিনি প্রার্থী হয়েছেন, সেই স্বপন মজুমদার মহাশয় এক জন ড্রাগ মাফিয়া। এ রকম একজন প্রার্থীর হয়ে কী ভাবে আমরা ভোটপ্রচারে যাব?’’ 

স্বপনের বিরুদ্ধে গত ভোটে কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ তুললেন দলীয় নেতা-নেত্রীদের একাংশ। এ নিয়ে তাঁরা কমিশনেও নালিশ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য হলফনামায় অসমে মাদক পাচার সংক্রান্ত একটি মামলা নিয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছিলেন স্বপন। ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছিলেন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সম্পত্তি নিয়েও।

অবসর জীবন আনন্দে কাটাতে চাইলে বিনিয়োগ করুন পোস্ট অফিসের এই স্কিমে, পাবেন করছাড়ের দারুণ সুবিধা

এদিকে তৃণমূলও এ নিয়ে সরব হয়েছে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে একটি খবরের কাগজের কাটিং এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে স্বপনের মনোনয়নপত্রের একটি অংশের ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘‘ইনিই কি সেই বিজেপির বারাসতের প্রার্থী? যদি তা-ই হন, তা হলে তিনি মাদককাণ্ডে ঘোষিত অপরাধী। বিজেপি এর ব্যাখ্যা দিক।’’

মাদক মামলা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং পোস্টারকাণ্ডের প্রেক্ষিতে স্বপন অবশ্য আগেই দাবি করেছিলেন যে, তৃণমূলই এ সব করাচ্ছে! তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি পুরোপুরি সরে গিয়েছে। ওরাই এ সব নোংরামি করার চেষ্টা করছে। তাতে কিছু লাভ নেই। বিজেপির সঙ্গে মানুষ রয়েছেন। বারাসত লোকসভাবাসী বিজেপিকে আনতে চান।’’

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মাদক আইনে স্বপনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ট্রেন সফরের সময় তাঁর কাছে মাদক পাওয়া যায় বলে অভিযোগ উঠেছিল।