অবসরের পর সকলেই চান একটু নশ্চিন্ত জীবন কাটাতে। তার জন্য অবশ্যই আর্থিক স্বচ্ছলতা, সনির্ভরতার প্রয়োজন। তার জন্য কর্মজীবনে এমন কিছুতে বিনিয়োগ প্রয়োজন যা বৃদ্ধ বয়সে সনির্ভরতা দেয়। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে চাইলে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম খুব লাভজনক।
অবসরের পর ভাল রিটার্ন চাইলে পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম আদর্শ। প্রবীণ নাগরিকদের জন্যই এই স্কিম তৈরি হয়েছে।
স্কিমে বিনিয়োগ করতে হলে, বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৬০ বছর। তবে কেউ যদি ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সে স্বেচ্ছাবসর নেন, তাহলে তিনিও এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। প্রতিরক্ষা খাতের কর্মীদের জন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। একাধিক অ্যাকাউন্টও খোলা যাবে, তবে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ লাখ টাকার মধ্যে রাখতে হবে। আগে বিনিয়োগের সীমা ছিল ১৫ লাখ টাকা। বর্তমানে তা বাড়ানো হয়েছে। ১ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে চেক দিতে হবে।
বর্তমানে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে ৮.২ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। তবে মেয়াদপূর্তির পর আরও তিন বছর বাড়ানো যায়। যদি কেউ পাঁচ বছরে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি মেয়াদপূর্তিতে ১৪.২৮ লাখ টাকা রিটার্ন পাবেন। এই স্কিমে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র অধীনে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে করছাড় পাওয়া যায়।