গুরুতর জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। এসএসকেএম হাসপাতালের তরফ থেকে দেওয়া
বিবৃতিতেও ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত লাগার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন
বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ঘনিষ্ঠ কেউ কি থাকতে পারে এই ঘটনার পিছনে? কেউ কেন রক্ত মোছাল না? সেই প্রশ্নও তুলেছেন
রুদ্রনীল। তিনি উল্লেখ করেছেন, একসময় মমতার বাড়িতে যাতায়াত
ছিল তাঁর। তাই তিনি জানেন, বাড়িতে কে কে থাকেন।
মমতার বাড়িতে খুব বেশি মানুষ যে
থাকেন না, সে কথা উল্লেখ করেছেন রুদ্রনীল। তিনি বলেন,
“নিরাপত্তারক্ষীরা যেমন থাকেন, ‘দু-তিনজন
মহিলাও থাকেন ব্যক্তিগত কাজের জন্য। কেউ কেন রক্ত মোছাল না?”
দোলে বিশেষ ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল
মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক অবস্থা
সম্পর্কে বলতে গিয়ে এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বলেছিলেন, ‘Within the vicinity of her home due to some push from behind’ অর্থাৎ পিছন থেকে কোনও ধাক্কার ফলে পড়ে যান। পরে তিনি তাঁর বক্তব্যের
ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘This is a sensation of push from behind’ অর্থাৎ ধাক্কা দেওয়ার মতো অনুভূতি হয়েছিল।
CAA নিয়ে সরব পাকিস্তান, কটাক্ষে বিঁধল ভারতকে
এই প্রসঙ্গে রুদ্রনীল বলেন, “প্রত্যেকটি শব্দ ভেবে এবং বুঝে প্রয়োগ করা হয়েছে। তাই সবার
মনেই প্রশ্ন এসেছে, যাঁদের সঙ্গে সমস্যা চলছে তাঁরা কি কেউ
ঠেলে ফেলে দিয়েছেন। অন্তর্ঘাত কি না, তার তদন্ত হওয়া উচিত।”
রক্তমাখা ছবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন
তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, রক্ত বন্ধ করার
চেষ্টা কেউ করল না কেন! রক্ত না মুছিয়ে কোনও পেশেন্টকে বেডে তোলা হয় না। আর
চিকিৎসকেরাও ওই অবস্থায় ছবি তুলতে দেন না। তাঁর দাবি, প্রয়োজনে
কেন্দ্রীয় সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনার রক্ত নিয়ে কারা ভোট
টানার রাজনীতি করছে দেখুন, আমার বিশ্বাস আপনাকে না জানিয়েই
কেউ ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছে ওই ছবি। কেউ একবার আপনার রক্তটাও মুছিয়ে দিল না।”
তবে এসএসকেএমের বিবৃতির অপব্যাখ্যা
করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই প্রসঙ্গে বলেন, “অদ্ভুতভাবে somebody pushed her কথাটার
অন্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটা এমন কোনও বিষয় নয়। কোনও কারণে সেনসেশন হয়েছে।”