গরমের অনেকেই
রয়েছেন যারা ফ্রিজের ঠান্ডা জল খেতে বেশি পছন্দ করেন। এই সময় লেবুর সরবত, আখের রসের বিক্রি বেড়ে যায়। কিন্তু গ্রীষ্মের দিনে ম্যাজিকের মতো কাজ করে যোধপুরি জলজিরা। এর কথা হয়তো অনেকেই
জানেন না। জয়পুরে বছরের পর বছর ধরে বিক্রি হচ্ছে এই সরবত। গরমের দিনে মুখে দিলে
মনে হবে অমৃত।
মাঝে মধ্যেই মাথা ঘোরে, মুক্তি দিতে পারে হেঁশেলের এই উপাদান
কিছু মশলা, লেবুর রস, জলজিরা আর বরফ। শুনলেই জিভে জল চলে আসে। এই অমৃতের
স্বাদ পাওয়ার জন্য আনচান করে ওঠে শরীর-মন।
গ্রীষ্মকালে
বাইরে থেকে তেতেপুড়ে আসার পর এক গ্লাস জলজিরার সরবত পান করলেই শরীর চাঙ্গা হয়ে
যায়। নিমেষে কেটে যায় ক্লান্তি।
জলজিরার
সরবত দেশের সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু যোধপুরি জলজিরা
অন্য জিনিস। যেমন স্বাদ তেমনই উপকারী। জিভে লেগে থাকে। এতে দেওয়া হয় বিশেষ জলজিরার
মশলা, লেবুর রস, তাজা ধনে পাতা, শিলা লবণ, পুদিনা পাতা, ভাজা জিরে, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং শুকনো আমের গুঁড়ো। যোধপুরি জলজিরা হয়ে ওঠে অমৃত।
তীব্র তাপপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচতে মেনে চলুন বিশেষজ্ঞদের বেশ কিছু টিপস
জয়পুরের
বাজারে যোধপুরি জলজিরা খাবার জন্য ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। ঠেলা গাড়ি বা ছোট স্টল
ঘিরে দাঁড়িয়ে পড়ে আমজনতা। হাতে হাতে জলজিরার সরবত। দামও নাগালের মধ্যে। এক গ্লাস
মাত্র ২০ টাকা। যোধপুরি জলজিরায় বিশেষ কিছু মশলা এবং নুন ব্যবহার করা হয়, তার জন্যই এমন জিভ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর স্বাদ।
জলজিরায়
কালো নুন দেওয়া হয়, হজমের জন্য খুব উপকারী। পেটের সমস্যাতেও কাজ করে।
লেবু এবং পুদিনার মিশ্রণ মাথা ঘোরা, টেনশন, নার্ভাসনেস
থেকে মুক্তি দেয়। শরীরের অন্যান্য রোগের চিকিত্সাতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীর
হাইড্রেটেড রাখে।
জলজিরা এমন
পানীয় যা স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এতে তিন ধরনের নুন দেওয়া হয়, যার কারণে এর স্বাদ এমন খোলতাই হয়। জলজিরা বিশেষ করে গ্রীষ্মে নার্ভাসনেস, অস্থিরতা এবং গরমের কারণে সৃষ্ট অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়, তাই ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত শরীরে সবার আগে জলজিরার সরবত পান করেন
জয়পুরের মানুষ।