প্রখর
দাবদহে পুড়ছে বঙ্গ। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ব’টুকুও নেই। এই
গরমে সুস্থ থাকতে চিকিৎসকরা বলছেন রোদ্দুর এড়াতে, প্রচুর জল খেতে। সেই সঙ্গে জলীয়
ভাগ বেশি আছে এমন খাবার খেতে। তাই বাইরে
বেরোলেই সব সময়ে সঙ্গে রাখুন জলের বোতল। বাইরে বেরোলে ব্যাগে কেবল জলের বোতল
রাখলেই হবে না, ফলও রাখতে হবে।
রাস্তার ধারে যে কাটা ফল
বিক্রি হয়, তাতে মাছির মাধ্যমে
বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়। এই খাবার খেলে পেটের গোলমাল হওয়ার
ঝুঁকি বাড়ে। তাই বাড়ি থেকেই নিজের টিফিন নিয়ে যেতে হবে সঙ্গে। তবে যে কোনও ফল নয়,
এমন ফল রাখতে হবে সেই টিফিনে, যাতে
শরীরে জলের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কোন কোন ফল খাবেন, যাতে ওজন বাড়বে না আর রক্তের শর্করার
মাত্রাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
Kancha Aamer Aamsotto: সারা বছর আমের স্বাদ পেতে বাড়িতেই বানিয়ে রাখুন আমসত্ত্ব
১) ডাবের জল: গরম থেকে
বাঁচার অন্যতম উপায় হল ডাবের জল। এতে পেট ঠান্ডা থাকে। ডাবের জল শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের
ভারসাম্য বজায় রাখে। গরম কালে ডাবের জল খেলে শরীর চাঙ্গা থাকে। বাড়ি থেকেই বোতলে
ভরে নিয়ে যান।
২) কাঁচা আম: এই ফল শরীর থেকে টক্সিন বার করে দিতে সাহায্য
করে। এটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে দারুণ উপকারী। গরমের দিনে এই ফল
খেলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এই সময়ে নুন দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। তা ছাড়া
কাঁচা আমপোড়া শরবত কিংবা কাঁচা আম মাখাও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
Burning Bay Leaves: শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতে নয়, এই পাতা পোড়ালে মেলে এই সমস্ত উপকার
৩) শসা: এই ফলে জলের মাত্রা ৯৫ শতাংশ। ফল হিসেবে কাঁচা
খাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ শসা দিয়ে নানা পদ রান্নাও করে ফেলেন। এই সময়ে শসার মতো
খাবার কমই আছে। শরীর ঠান্ডা রাখে, পেট ভর্তি করে। ত্বকের জন্যও এই ফল দারুণ
উপকারী। টিফিনে এই ফল কিন্তু রাখতেই পারেন।