চৈত্র সংক্রান্তি হল নববর্ষের আগের দিন। এই দিন অনেকেই
পিঠে-পুলি খেয়ে থাকেন। তবে সংক্রান্তির দিন
দই-চিঁড়া খেতেও পারেন। দই অত্যন্ত শুভ একটি
জিনিস। এমনকী দই শরীরের জন্য খুব ভাল। এটি হজম শক্তিও বৃদ্ধি করে। এই পবিত্র
দিনে তাই দই-চিঁড়া খান, আশীর্বাদ মিলবে।
নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পুজো পান চন্দ্রঘণ্টা, দূর হয় ভয়-রোগ-কষ্ট
সংক্রান্তিতে দরিদ্রদের কখনওই খালি
হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। দরজায় আগত ভিক্ষাজীবীকে নিরাশ করবেন না। কাউকে অপমান করবেন
না।
সংক্রান্তির দিন খিচুড়ি রান্না করে
খেতে পারেন বাড়িতে।
তবে চৈত্র সংক্রান্তি মানেই বাঙালির
ঘরে ঘরে পাঁচন৷ টক, ঝাল, নোনতা, মিষ্টি, তেতো সব রকম স্বাদ মিলিয়ে তৈরি হয় পাঁচন৷ সব রকম সব্জি, শাক, বীজ, ডাল দিয়ে রান্না সুস্বাদু পাঁচন খাওয়ার কারণটাও খুব
সুন্দর৷
একদিকে যেমন সবরকম দুঃখ-দুর্দশা
বছরের শেষ দিনে পিছনে ফেলে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া, তেমনই জীবনের চলার পথে মিষ্টি-টক-তেতো সবরকম অভিজ্ঞতাকে
গ্রহণ করে নেওয়ার রূপক হল পাঁচন খাওয়ার রীতি৷
নবরাত্রির সময় দেবী দুর্গাকে তুষ্ট করতে এই মন্ত্রগুলি জপ করুন, পূরণ হবে সমস্ত ইচ্ছা
চৈত্র মাসের গরমে শরীর সুস্থ রাখতে, রোগভোগ দূর করতেও সাহায্য করে সব স্বাদের মিশেলে তৈরি
পাঁচন৷
বৈশাখ জুড়ে দেশের নানা প্রান্তে
নববর্ষ সূচিত হয়।