চৈত্র
নবরাত্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ নবরাত্রির তৃতীয় দিন। এই দিনটি দেবী চন্দ্রঘণ্টাকে
উৎসর্গ করা হয়। তাঁর কপালে অর্ধচন্দ্র শোভা পায়, তাই তাঁকে
চন্দ্রঘণ্টা বলা হয়। এছাড়াও দেবী চন্দ্রঘণ্টার পুজো করলে সকল প্রকার ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মানব মননে বিশ্বাস, মা
চন্দ্রঘণ্টার কাহিনী পাঠ করলে শরীরের যাবতীয় রোগ ও কষ্ট দূর হয়।
রামনবমীতে সূর্যতিলকে রেঙে উঠবেন রামলালা, ঘরে বসেই দেখতে পাবেন লাইভ টেলিকাস্ট
কাহিনী
অনুসারে, মা দুর্গার প্রথম রূপ হল মা শৈলপুত্রী এবং দ্বিতীয়টি
হল মা ব্রহ্মচারিণী রূপ যা ভগবান শঙ্কর দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা
হয়। যখন মা ব্রহ্মচারিণী ভগবান শঙ্করকে পতিরূপে গ্রহণ করেন, তখন তিনি
আদিশক্তি রূপে আবির্ভূত হন। সেই আদিশক্তিই চন্দ্রঘন্টা। পৃথিবী যখন অসুরদের দৌরাত্ম্যে
অতিষ্ট তখন মা দুর্গা চন্দ্রঘন্টার অবতার ধারণ করেছিলেন। সেই সময় মহিষাসুর ও
দেবতাদের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছিল। দেবরাজ ইন্দ্রের সিংহাসন পেতে চেয়েছিলেন
মহিষাসুর।
দেবতারা
মহিষাসুরের ইচ্ছার কথা জানতে পেরে বিচলিত হয়ে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও
মহেশ্বরের সামনে উপস্থিত হলেন। দেবতাদের কথা শুনে ত্রিদেবের মুখনির্গত শক্তি থেকে
অবতারিত হন এক দেবী। সেই দেবীই ছিলএন আদ্যাশক্তি। তিনিই চন্দ্রঘন্টা রূপ ধারণ করে
মহিষাসুরকে বধ করে দেবতাদের রক্ষা করেন।
ক্ষমা চাইলেন অশোকচক্রের অবমাননা করা মলদ্বীপের সাবেক মন্ত্রী
দেবী চন্দ্রঘণ্টার
নৈবেদ্য
নবরাত্রির
সময় দেবী দুর্গার নয়টি রূপকে বিভিন্ন ধরণের নৈবেদ্য দেওয়া হয়। মনে করা হয় যে দেবী
চন্দ্রঘণ্টা ক্ষীর খুব পছন্দ করেন, তাই মাকে কেশর দেওয়া ক্ষীর নিবেদন করতে
পারেন। দুধ, দই, ঘি, মধু এবং গঙ্গাজলের মিশ্রণে তৈরি পঞ্চামৃত মা
চন্দ্রঘন্টার খুব প্রিয়। এই মিশ্রণটি এমন পাঁচটি পবিত্র পদার্থ দিয়ে তৈরি, যাদের প্রতিটিরই নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। দুধকে বিশুদ্ধতা ও পুষ্টির প্রতীক
হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। দেবীকে কাঁচা দুধও নিবেদন করতে পারেন। মা চন্দ্রঘন্টা দই-ও
খুব পছন্দ করেন।