নববর্ষের দিন কোথাও না বেড়িয়ে বাড়িতেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেন অনেকেই।
তাই বাইরের খাবার না খেয়ে অনেকেই বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করে থাকেন। তাহলে নিজেই নতুন কিছু একটা বানিয়ে ফেলতে পারেন। আর তার উপর আপনি
যদি ভাল রান্না করতে জানেন তাহলে তো আর
কোনও কথাই নেই। মাছ-মাংসের পদ না হয় অনেক হল। কিন্তু নিরামিষ পদে
কী রাখবেন ভেবেই নাজেহাল। তাই চিন্তা নেই এমনিতেই প্রতিদিন অফিসের কাজের চাপে
রোজের রান্নায় থোড়, মোচা,
এঁচোড়ের চল কম। তবে বর্ষবরণের দিনে একটু ‘স্পেশাল’ রান্না না হলে কী
জমে?
শনিবারের ভূরিভোজ জমে উঠুক চাল-এঁচোড়ের ঘণ্ট দিয়ে গরম গরম ভাত পরিবেশন করুন।
উপকরণ:
এঁচোড়: ৫০০ গ্রাম
গোবিন্দভোগ চাল: ৪ টেবিল চামচ
আলু: ১টি
টক দই: ৪ টেবিল চামচ
টম্যাটো কুচি: আধ কাপ
গোটা কাঁচা লঙ্কা: ৫-৬টি
হলুদ: আধ টেবিল চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: আধ টেবিল চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
আদা বাটা: ২ টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো: ৩ টেবিল চামচ,
গোটা জিরে: আধ টেবিল চামচ
গোটা গরমমশলা: ১ চা চামচ
তেজপাতা: ২টি
ঘি: ৫ টেবিল চামচ,
দুধ: ৩ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
নুন ও চিনি: স্বাদ মতো
প্রণালী:
এঁচোড় ডুমো ডুমো করে নুন ও হলুদ
দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। আলু ছোট ছোট করে কেটে তেলে লালচে করে ভেজে তুলে রাখুন। এ বার
কড়াইয়ে ঘি গরম করে গোবিন্দভোগ চাল ভেজে তুলে রাখুন। ওখানেই আর একটু ঘি দিয়ে তাতে
গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, জিরে ফোড়ন দিয়ে মিনিট খানেক নাড়াচাড়া করুন।
আরও পড়ুন:মাছ ভাজতে গেলে এই কৌশল জানলে হাতে পড়বে না ফোসকা
এবার কড়াইতে আদা বাটা, টম্যাটো কুচি, জিরে গুঁড়ো, নুন, হলুদ গুঁড়ো, চিনি,
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, দই দিয়ে ভাল করে
কষতে থাকুন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে এঁচোড় ও আলু দিয়ে দিন। আবার কষিয়ে নিন। এর
পর কড়াতে দুধ, পরিমাণ মতো জল এবং চাল দিয়ে ঢাকা
দিন। চাল সিদ্ধ হয়ে গেলে উপর থেকে ঘি ও গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।