পাহাড় মানুষের বড় পছন্দের। নিরিবিলি নির্জন স্থানে হোমস্টে থেকে এক কাপ চা হাতে নিয়ে পাহাড়, উপত্যকাকে অনুভব করার সঙ্গে আর কোনও কিছুরই তুলনা হয় না। দার্জিলিংয়ের কাছেই রয়েছে একেবারে অফবিট পর্যটন কেন্দ্র তামসাং। সেখানে গেলে এই কল্পনা সত্যি হতে পারে৷ তামসাং থেকে দার্জিলিং শহরের ল্যান্ডস্কেপ আর কাঞ্চনজঙ্ঘা একসঙ্গে দেখা যায়।
পাহাড়, উপত্যকা, সবুজ চা বাগানের টানে সারা বছর দার্জিলিং ছুটে অসেন পর্যটকরা। সারাবছরই সেই কারণে দার্জিলিংয়ের হোটেলগুলি ভর্তি থাকে। তামসাংএ রয়েছে একাধিক হোমস্টে। তাই হোমস্টের বারান্দায় বসে দার্জিলিং আর কাঞ্চনজঙ্ঘা একসঙ্গে দেখা যায়। তামসাংয়ে খুব একটা বেশি পর্যটক সমাগম হয় না। গ্রামের সামনে চা বাগান যেন সবুজ গালিচা পেতে দিয়েছে। চা বাগানের মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছে গ্রামের রাস্তা। বর্ষার পর এখন চা-বাগানগুলি আরও সবুজ হয়ে ওঠে। কাছেই রয়েছে চা তৈরির কারখানাও। এখানে ঢুকতে গেলে অবশ্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। চা বাগানের ভেতরেও থাকার জায়গা রয়েছে। তবে সেখানকার থাকার খরচ একটু বেশি।
তামসাংয়ের পাশ দিয়েই বয়ে যাচ্ছে রঙ্গিত নদী। চাইলে এখানে মাছ ধরতেও পারেন। রঙ্গিত নদীর পাড়ে আবার ধানচাষ হয়। সব মিলিয়ে এখানে পুজোয় আসলে ঠকবেন না।