আর হাতে গোনা কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে থাকবে দেবী দশভূজা। তাই প্যান্ডেল হপিং করার আগেই দেদার কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন আপামোর বাঙালি। কিন্তু একদল মানুষ যখন পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা হন, আর একদল মানুষ তখন ভাবেন পুজোয় চারদিন কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়। কিন্তু পুজোর সময়ে পাহাড়ে যাওয়ার টিকিট পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না বেশিরভাগ সময়ে। কারণ এই সময়ে প্রায় সকলেরই ছুটি থাকে, তাই ট্রেনের টিকিট পাওয়াটা অসম্ভব হয়ে ওঠে। আর কাছেপিঠে কোথাও মানেই হল দীঘা বা মন্দারমণি।
এই দুটি জায়গাতে যেতে বেশিরভাগ জনেরই মন একেবারেই চায়না। তবে আপনি চাইলেই একটু অন্যরকম স্থানে কাটাতে পারেন কয়েকটা দিন। দিঘা যাওয়ার পথে কম খরচে সরকারি রিসর্টে পুজোর ছুটি কাটান। দিঘায় যাওয়ার পথে নিরিবিলি স্থান হল এটি। এখানে খাওয়া-দাওয়া-সহ প্রকৃতির মধ্যে বিশ্রাম নেওয়া যায়। শুধু তাই নয়, পুজোর ছুটিতে নিরিবিলিতে পরিবারের সঙ্গে হোক বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটি কাটানোর উপযুক্ত জায়গা এই সরকারি ফার্মহাউস।
কলকাতা থেকে দিঘা যাওয়ার রাস্তায় ১১৬ বি জাতীয় সড়কের পাশে সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই ফার্ম হাউসের। ঘোরার জন্য বিশাল আমবাগান, বাগানে দোলনার রয়েছে। ছোটদের খেলার জন্য পার্ক, সবজি চাষের বাগান, পুকুর। রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা।
ডুপ্লেক্স রুমের ভাড়া ২৫০০ টাকা প্রতিদিন। লাঞ্চ, ডিনার, ব্রেকফাস্ট বাজার দরের ওপর নির্ধারিত।