আজকাল কার দিনে বিয়ের বহুদিন আগে
থেকেই হানিমুনে কোথায় যাবেন তার জন্য ঘর বুকিং থেকে শুরু
করে সমস্ত কিছুই ব্যবস্থা করে রাখেন। কিন্তু সকলের পক্ষেই বিয়ের ঝক্কি কাটিয়ে বিদেশ
যাওআর মতো ক্ষমতা থাকে না। তাই তাঁদের জন্য রয়েছে বিরাট চমক। মলদ্বীপ, কেরল, নিদেনপক্ষে গোয়ায় মধুচন্দ্রিমা করতে
যাওয়া বন্ধুদের সামনে পুরীর নাম বললে মান থাকবে? চিন্তা কী? গোপালপুর আছে তো। রথ দেখা
থুড়ি সমুদ্র আর জগন্নাথ দুই-ই হবে।
ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় অবস্থিত গোপালপুর। নিরিবিলিতে সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা।
নির্জন সৈকতে নিভৃতে চাইলেই সময় কাটাতে পারেন।
এখান থেকেই গা়ড়ি করে ঘুরে নেওয়া যায় ‘ওড়িশার কাশ্মীর’ দারিংবাড়ি।
কোথায় থাকবেন?
খুব ভাল হয় যদি ওড়িশা পর্যটন বিভাগ (ওটিডিসি)-এর হোটেলে থাকতে পারেন। তবে
ভরা সময়ে ঘর পাওয়া মুশকিল। তাই আগে থেকে বুক করে রাখা ভাল। এ ছাড়া বিভিন্ন দামের হোটেল
আছে। চাইলে একটু বেশি খরচা করে সমুদ্রমুখী ঘর নিতেই পারেন।
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বরগামী ট্রেনে চলে আসুন বেরহামপুর। সেখান থেকে গোপালপুর
যেতে সময় লাগবে ঘণ্টাখানেক।
এ ছাড়া সড়কপথে আসতে পারেন। রাস্তা ভাল, কিন্তু সময় লাগবে প্রায় ১২ ঘণ্টার
মতো।