প্রকৃতির সমস্ত রহস্যের সমাধান ঘটানো কারও সাধ্য নয়। সৃষ্টিকর্তা
ঠিক যেভাবে প্রকৃতিকে গড়েছেন তার বিন্দুমাত্র নড়চড় হওয়ার উপায় নেই। মিনেসোটার
ডেভিলস কেটল ফলস প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পরিবেশবিদদের বিভ্রান্ত করছে।
সুপিরিয়র হ্রদের উত্তর দিক থেকে এক মাইল ভেতরে ডেভিলস কেটল
ফলস। কেন এই জলপ্রপাত সম্পর্কে এত বিস্ময়কর? আসলে সেখানে অকস্মাৎ জল
অদৃশ্য হয়ে যায়।
ডেভিলস কেটলের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে ব্রুল নদী। এটি আবার
দুভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। পাহাড়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই নদী বয়ে গিয়েছে নিচের
দিকে। একটি জলাশয়ের মধ্যে যায়, অন্যটি একটি গহ্বরের মধ্য দিয়ে কোথায়
যে অদৃশ্য হয়ে যায় তা কেউ জানে না। বহুবার চেষ্টা করেও তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এমনকি লাঠি, পিং পং বল, এমনকি জিপিএস
ডিভাইস ফেলেও দেখা হয়েছে। কিন্তু তল খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কিংবদন্তি,
মানুষ টিভি এবং একটি গাড়ি অতল গহ্বরে পাঠানোর কথাও জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভালবাসা খুঁজতে গিয়ে নৃশংসতার শিকার, রেহাই মিলল না শিশুরও
আরও পড়ুন: Eco Park: বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের কারণে তিনদিন বন্ধ থাকবে ইকোপার্কের দরজা
অনেকে ডেভিলস কেটলে কী ঘটে তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা
করেছেন। একটি তত্ত্ব বলে যেহেতু সুপিরিয়র মিসিসিপিরই হ্রদ, তাই এই হ্রদেই অবস্থিত ডেভিলস কেটলের জল পুনরায় মিসিসিপিতেই ফিরে যায়।
আবার কিছু মানুষ বলেন যে এটি জল কানাডাতেও যেতে পারে। সেখান থেকে সুপিরিয়র লেক
পর্যন্ত একটি ভূগর্ভস্থ টানেল রয়েছে।
২০১৭ সালে যদিও গবেষকদের একটি দল এই রহস্যের সমাধান করেছে।
তারা ডেভিলস কেটলের উপরে এবং নিচে জলের প্রবাহ পরিমাপ করেছিল। তাতে তাঁরা দুটি
স্তরের জলের পরিমাপের মধ্যে কোনও পার্থক্য পাননি। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন জল
গহ্বরে অদৃশ্য হয়ে যায় শুধুমাত্র ভূগর্ভ থেকে নদীতে ফিরে আসার জন্য। আর যে
বস্তুগুলি ফেলে দেখা হয়েছে গবেষকদের মত সেগুলি হয় ভেঙে যায়, নাহলে অতলে তলিয়ে যায়।
রহস্য যাই হোক না কেন, ডেভিলস কেটল বিশ্বের
অন্যতম সুন্দর জলপ্রপাতগুলির মধ্যে একটি।