আর কয়েকদিন পরেই গোটা বিশ্ব যীশুর জন্মদিন পালিত হবে। জগৎ সংসারে জ্বলে
উঠবে খুশির আলো। এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে গির্জায়
গির্জায় ভিড় জমান বড়দিনে সাধারণ মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে
অদ্ভুত আকৃতির সব গির্জা। ট্যাঁকের জোড় থাকলে ঝোলা কাঁধে বেরিয়ে পড়তে পারেন সেগুলি
দেখতে। সব যেন এক সে বড়কর এক। দেখলে রীতিমতো তাক লেগে যাবে। বড়দিনের প্রাক্কালে তাই
মানসভ্রমণ সারি আমরা, আর আপনারা নিন সশরীরে যাওয়ার প্রস্তুতি।
দ্য চার্চ অফ হ্যালগ্রিমার
(আইসল্যান্ড)
আইসল্যান্ডের চারটি সুউচ্চ আশ্চর্য সৌধের মধ্যে অন্যতম লুথেরান প্যারিশ
চার্চ। এর উচ্চতা ২৪৪ ফুট। ৩৮ বছর ধরে একটু একটু করে স্যামুয়েলসন তৈরি করেন গির্জাটি।
১৯৪৫ সালে গির্জা তৈরি শুরু হয়েছিল। শেষ হয় ১৯৮৬ সালে।
ডেভিস টু রুট আউট
ইভিল (ক্যালগরি, এবি, কানাডা)
এই গির্জার আকার অদ্ভুত। আর এ নিয়ে বিতর্ক কখনও পিছু ছাড়েনি চার্চের। আসনে
এই প্রার্থনাগারের আকার সম্পূর্ণ উল্টো। বিতর্ক এড়াতে ২০০৮ সালে ভ্যাঙ্কোভার থেকে
ক্যালগরিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল গির্জাটি।
লাস লাজাস ক্যাথিড্রাল
(কলম্বিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা)
দক্ষিণ আমেরিকার এই গির্জাটি যাকে বলে পাহাড় প্রমাণ। ১৯১৬ সালে গুয়েতারা
নদীর ক্যানেলের উপর তৈরি হয় এই ক্যাথিড্রাল। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এই নদীতেই আবির্ভাব
ঘটেছিল ভার্জিন মেরির।
সেন্ট বাসিলস ক্যাথিড্রাল
(মস্কো, রাশিয়া)
ডিসনি ওয়ার্ল্ড অনেকেই দেখেছেন। মস্কোর এই চার্চ সেই ডিসনি ওয়ার্ল্ডকেই
যেন মনে করিয়ে দেন। রাশিয়ার রাজধানীর অন্যতম আকর্ষণ ক্যাথেড্রাল অব সেন্ট বাসিল। ১৫৫৫
থেকে ১৫৬১ সালের মধ্যে তৈরি হয়েছিল এই গির্জা। কথিত আছে, রেড স্কোয়ারে অবস্থিত এই গির্জার
স্থপতিকে অন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তিনি এমন অভূতপূর্ব গির্জা আর না বানাতে পারেন।
তবে শোনা যায়, সেই স্থপতি এরপরও বেশ কয়েকটি গির্জা বানিয়েছিলেন।
দ্য গ্রিন চার্চ
(বুয়েনস আইরেস, আর্জেন্টিনা)
এই গির্জা অনন্যসুন্দর। গোটা চার্চের দেওয়াল ঢাকা বাঁশ গাছের পাতা দিয়ে।
আর এই বিষয়টিই একে করে তুলেছে অনন্য। মজার কথা হল এই গির্জা রয়েছে আর্জেন্টিনা।