পুরনো দিল্লিতে অবস্থিত লাল কেল্লা দেশ ও
দিল্লির অন্যতম এক ঐতিহাসিক ঐতিহ্য। ২০০৭ সালে এই ঐতিহাসিক ঐতিহ্য
ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে নির্বাচিত হয়।
দিল্লির লাল কেল্লা সম্পর্কে আমরা সবাই খুব ভালো করেই জানি,
কিন্তু আপনি কি জানেন যে দিল্লির মতো পাকিস্তানেও একটি লাল কেল্লা
রয়েছে, যেটি তৈরি করতে ৮৭ বছর সময় লেগেছিল। এটি মুজফফরাবাদ দুর্গ, রুট্টা কেল্লা নামেও পরিচিত।
সপ্তদশ শতকে নির্মিত পাকিস্তানের লাল
কেল্লা ইসলামাবাদ থেকে ৩ ঘণ্টার দূরত্বে মুজাফফরাবাদে অবস্থিত। এটি ১৫৫৯ সালে কাশ্মীরের চক শাসকদের দ্বারা শুরু হয়েছিল
কারণ তাঁরা ভেবেছিলেন মুঘলরা শহর আক্রমণ করতে পারে। ১৫৮৭ সালে মুঘল সাম্রাজ্য
কাশ্মীর দখল করে, যার কারণে দুর্গটি তার
গুরুত্ব ও পরিচয় উভয়ই হারিয়ে ফেলে এবং নির্মাণ কাজও ধীর গতিতে শুরু হয়।
দুর্গের নির্মাণ কাজ আবার শুরু হয় ১৬৪৬
সালে যখন বোম্বা রাজ্যের সুলতান মুজাফফর খানের শাসনামল আসে। তাঁর শাসনামলে দুর্গের
নির্মাণকার্য শেষ হয়। সুলতান মুজাফফর খান মুজাফফরাবাদে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাই তাকে মুজাফফরাবাদের প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।
এর পরে, ১৮৪৬ সালে ডোগরা রাজবংশের মহারাজা গুলাব সিংয়ের শাসনামলে দুর্গটি
তৃতীয়বারের মতো পুনর্নির্মাণ করা হয়। তাঁর বাহিনী ১৯২৬ সাল পর্যন্ত দুর্গটি শাসন করে,
তারপর এটি ছেড়ে চলে যায়। ফলে এরপর থেকে দুর্গটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। এই দুর্গটি নীলম নদী দ্বারা বেষ্টিত।
বর্তমানে পাকিস্তান সরকারের অবহেলার কারণে এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।