কল্পনা করুন একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। তার মুখ থেকে অনর্গল ধোঁয়া
বেরোচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তেসেখান থেকে নির্গত হতে পারে লাভা। তার মুখে বসানো রয়েছে
এক মূর্তি। এই চিত্রটি কল্পনার নয়, আদপে বাস্তব। বিশ্বের বিস্ময়
ব্রোমো আগ্নেয়গিরি। একেবারে জীবন্ত। সেখান থেকে গলগলিয়ে বেরিয়ে আসে ধোঁয়া। যে
কোনওদিন এই জ্বালামুখ থেকে লাভা বের হবে। এমন ভয়াবহ ব্রোমোর সামনে সাতশো বছর ধরে
বসে আছেন গণেশ! সে দৃশ্য দেখলে বিশ্বাস হয় না যেন। ইসলামপ্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ায়
গেলে এই দৃশ্য দেখা যায়।
ইন্দোনেশিয়ার
আগ্নেয়গিরি মুখে বসে থাকে গণেশের মূর্তি হল বিশ্বেরেক আশ্ররয। এই মূর্তি ৭০০
বছরের পুরনো মূর্তি। ইন্দোনেশিয়ার ১৪১টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে ১৩০টি এখনও সক্রিয়,
তাদের মধ্যে একটি হল মাউন্ট ব্রোমো। এটি পূর্ব জাভা প্রদেশের ব্রোমো টেঙ্গার
সেমেরু জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত। এই ব্রোমোর মুখেই সাতশো বছর ধরে বসে রয়েছেন গণেশ।
স্থানীয়
লোকজনের বিশ্বাস, আগ্নেয়গিরির মুখে যে মূর্তি রয়েছে তা এখানকার
মানুষকে রক্ষা করে। ইন্দোনেশিয়া মুসলিম প্রধান হলেও এখানে প্রচুর হিন্দুরও বাস।
তাই গণেশ মন্দির থেকে শিব মন্দির সবেরদেখা পাওয়া যায়।
জাভাবাসীদের
বিশ্বাস এই মূর্তিটি তাদের পূর্বপুরুষরা এই মূর্তিটি স্থাপন করেছিলেন। এখানে
বিস্ফোরণ হলেও গণপতির পুজো এখানে থেমে থাকে না। 'ইয়াদনায়া কাসাদা'
নামের এই ঐতিহ্যটি বছরের একটি বিশেষ দিনে পালিত হয়। এটি একটি ১৫
দিনের উত্সব যা শুরু থেকেই চলে আসছে।