শীতের ছুটিতে সকলেই কম-বেশি ঘুরতে যেতে ভালবাসেন।
আর ভ্রমণপিপাসুদের জন্য মোক্ষম জায়গা হল পাহাড়। এই ছুটিতে যদি কোনও অফবিট জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে হয় তাহলে
ছলে জেতেই পারেন ‘বিদ্যাং
গ্রাম’। উত্তরবঙ্গের এই ছোট্ট গ্রামটি পর্যটকদের কাছে ধীরে ধীরে
জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কলিম্পং থেকে বিদ্যাংয়ের
দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। তাই কলকাতা থেকে ট্রেনে চেপে অনায়াসেই পৌঁছে যাওয়া
যায় এখানে। শান্ত, নির্জন ও প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যে ভরপুর বিদ্যাং। গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে প্রাণচঞ্চলা রেলি নদী। সমুদ্রতল
থেকে উচ্চতা ৩০০০ মিটারের কাছাকাছি। দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ের ক্যানভাসে ছোট্ট এই
গ্রামে শুধুই সবুজের সমারোহ। আর পাহাড়ের ধাপে ধাপে চাষের জমিতে
গ্রীষ্মকালীন/শীতকালীন সবজির চাষ। মন ভোলানো প্রকৃতির রূপ।
ভিসা ছাড়াই এবার এশিয়ার এই দেশে যেতে পারবেন পর্যটকরা
বহু ভেজষ গাছের সন্ধান পাওয়া যায়
এই স্থান থেকে। তাছাড়াও এখানে রয়েছে পাইন, ফারের গাছও। ফলে
কয়েকটা দিন এই গ্রামে পাহাড়ি মানুষগুলোর অথিতেয়তায় কাটিয়ে গেলে পরবর্তী এক
বছরের অক্সিজেন নিয়েই ফিরবেন, একথা হলফ করেই বলা
যায়। এখানকার মানুষজন নির্দ্বিধায় পর্যটকদের আপন করে নেন। পাহাড়ে ঘেরা এই
গ্রামে রেলি নদীর ওপর একটি সুন্দর কাঠের সেতু আছে, যা গ্রামবাসীর কাছে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। এটিও আপনাদের মুগ্ধ করবে। আর
থাকছে শিশুর মতো ছটফটে রেলি নদী, চাইলে নুড়ি-পাথর
কুঁড়িয়েই অনেকটা সময় কানানো যায়। একটি ভিউ পয়েন্ট আছে বিদ্যাং গ্রামের কাছেই।
এখান থেকে দার্জিলিং শহরকে দেখাও একটা অন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। সব মিলিয়ে ৪/৫
দিন ভারি সুন্দর কাটবে আপনার।
Travel: পাহাড় দেখতে আর সিকিম বা দার্জিলিং নয়, কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে সেই মোক্ষম ডেস্টিনেশন
কীভাবে যাবেন
বিদ্যাং যেতে হলেও এনজেপি হয়েই যেতে
হবে। কলিম্পং থেকে বিদ্যাংয়ের দূরত্ব মাত্র ১৫
কিলোমিটার। এনজিপি থেকে লোহাপুল হয়ে কলিম্পং যাওয়ার শেয়ার
জিপ পাবেন। সেখান থেকে বিদ্যাং যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। তবে গাড়ি ভাড়া করে
যাওয়াই ভাল।
কোথায় থাকবেন
এখন ওখানে যেমন কয়েকটি হোটেল হয়েছে, তেমনি রয়েছে খুব সুন্দর
কয়েকটি হোমস্টে। ভাড়া বেশি নয়।