প্রত্যেকটি মানুষ কম বেশি ঘুরতে যেতে ভালবাসে। শীতের ছুটি পরার আগেই কিছু পরিবার প্ল্যানিং করে
ফেলে যে এই ছুটিতে তারা কোথায়ে ঘুরতে যাবে বা কী কী করবে। আর এমনিতেই গরমের ছুটি পড়লেই মনটা যেন কেমন ঘুরতে যাব ঘুরতে যাব
করে।
তাই আপনিও যদি এই শীতের ছুটিতে নিজের ক্লান্তিপূর্ণ কর্ম
জীবন থেকে ব্রেক নিয়ে নিজের পরিবারের সঙ্গে বা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং কোনও অফ বিট
ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনের সন্ধান
করছেন তাহলে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটা শুধু আপনার জন্য। আমরা এমন একটি অজানা
পাহাড়ি জায়গায় সন্ধান দিতে চলেছি যেখানে গেলে আপনার মন ও স্বাস্থ্য দুই ভাল
হবে। উত্তরবঙ্গের এই জায়গাটিতে চারদিকে চোখ মেললে পাবেন সারি সারি পাহাড়। যা আপনার মন জুরিয়ে দেবে।
অর্থের আগমনে ধনবান হয়ে উঠবে এই রাশির জাতকেরা, আপনিও কি রয়েছেন তাদের মধ্যে
আমরা যেই জায়গাটির কথা বলছি সেই
শিলিগুড়ির কাছের এলাকা। আর এই জায়গাটির নাম হলো বুংকুলুং (Bungkulung)। এটি একটি পাহাড়ি গ্রাম। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার
চল্লিশ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত এটি। পাহাড়ের পাশাপাশি আপনি এই জায়গায় নদী ও
জঙ্গল দেখতে পাবেন। এবারে যদি একটু আলাদা ধরনের পাহাড় দর্শনের ইচ্ছা থাকে তবে
অবশ্যই এই জায়গায় যাওয়া উচিত।বালাসুন নদী বয়ে চলেছে বুংকুলুং গ্রামের মধ্যে।
মুরমাহ চা বাগান এবং গয়াবাড়ী চা বাগান রয়েছে এই গ্রামের কাছেই। একদিকে নদীর
কলকল শব্দ, অন্যদিকে পাহাড়ে নিস্তব্ধতা, দুই মিলে এই জায়গাটি অত্যন্ত মনোরম একটি স্থানে পরিণত
করেছে।
Chhath Puja 2023: জেনে নিন কেন সূর্যের পূজা করা হয় এবং কে ছট মাতা
এখানে ট্যুরিস্টদের থাকার জন্য
রয়েছে,
হোমস্টে, রিসর্ট। আর এর পিছু
খরচ হতে পারে প্রায় ১৫০০-১৮০০ টাকা। ঘরোয়া হোমস্টেগুলোর আতিথেয়তায় মুগ্ধ হবেন
সকলেই। ধান, ভুট্টা, বাজরা, পাহাড়ি এলাচের চাষ
এই গ্রামকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলেছে। তাই এই কথাই বলা বাহুল্য, যে ছুটি কাটানোর জন্য বুংকুলুং একটি শ্রেয় জায়গা। দেওয়া
দৃশ্য, রয়েছে জাতীয় অরণ্য, এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী। কখনও কখনও মেঘেদের আড়ালে লুকিয়ে যায় এখানকার
সুবিস্তৃত পাহাড়। আবার কখনও মেঘ সরিয়ে উঁকি মারে পাহাড়গুলি।