নিরিবিলি আর অফবিট শব্দ দুটি এখন একে অপরের সমার্থক। অনেকেই আছেন
যারা সারা সপ্তাহ, মাস পিল পিল করতে থাকা মানুষের জঙ্গলে কাটিয়ে দু’চারটে দিন একটু
নিস্তব্ধ, নিরালায় সময় কাটাতে ভালবাসেন। দু-চারটে দিন সম্ভব না হলে নিদেনপক্ষে
কয়েক ঘণ্টা। এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি অফবিট পর্যটন কেন্দ্রের হদিশ
মিলবে।
দিন কয়েকের
ছুটিতে কাটিয়ে আসতে পারেন যমুনাশুল বা যমুনাশোল থেকে। বঙ্গোপসাগরের পাড়ের অপরূপ
এই সাগরতট এখনও ততটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।
এখানে গেলে সমুদ্রের সঙ্গে সঙ্গে সবার আগে চোখে পড়বে চারিদিকে ঝাউবনের সারি। ওড়িশা
উপকূলের এই সাগরতটের অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা নজর কাড়বেই। নির্জনতা এড়িয়ে প্রকৃতির
অসাধারণ সৌন্দর্য্যের স্বাদ নিতে গেলে পৌঁছে যেতে হবে বাংলার সীমানা লাগোয়া এই
এলাকায়।
যমুনাশুলের
নিকটবর্তী রেল স্টেশন হল ওড়িশার বাস্তা। এই বাস্তা থেকে মাত্র ৩১ কিলোমিটার দূরেই
রয়েছে যমুনাশুল। কলকাতার দিক থেকে ট্রেনে গেলে ধৌলি এক্সপ্রেস ধরে পৌঁছে যেতে
পারেন বাস্তায়। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন
যমুনাশুলে। তবে চাইলে জলেশ্বর স্টেশনে নেমে সেখান থেকেও অটো কিংবা অন্য ছোটো গাড়ি
ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন যমুনাশুলে। সড়কপথে গেলে ১৬ নং জাতীয় সড়ক ধরুন।
জলেশ্বর পেরিয়ে গান্ধিচক থেকে বাস্তা-বালিয়াপাল রোড ধরলেই পৌঁছে যাবেন এই এলাকায়।
যমুনাশুলে সমুদ্রে
পাড়ে ক্যাম্প গড়ে পর্যটকদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এখানে একটি
ফার্ম হাউজে পর্যটকদের থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। এসি বা নন এসি দু'রকম
ঘরই পেয়ে যাবেন।