দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন শহরে শীত পড়েছে। এই
মরসুমে অনেকেই ঘুরতে যেতে ভালবাসেন। আবার এই ভালবাসার মধ্যেও রয়েছে বিভিন্নতা। কারণ
কারও সমুদ্র ভাল লাগে তো কারও জঙ্গল, আবার কারও ঘুরতে যেতে ভাল
লাগে পাহাড়ে। কিন্তু সে যেই জায়গাই হোক না কেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ কখনওই ঘরে আটকে রাখা সম্ভব নয়। ছুটি পেলেই ঘুরতে যাবেই যাবে।
আর সকলের মতো আপনিও নিশ্চয়ই ঘুরতে
যেতে পছন্দ করেন? প্রতিবছরই কি দূরে কিংবা কাছে কোথাও ঘুরতে
যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন? আজকের এই প্রতিবেদনটা যদি মন
দিয়ে পড়েন তাহলেই বিস্তারিতভাবে অনেক কিছু জানতে পারবেন। যারা ঘুরতে ভালবাসেন
তাদের তালিকাতে উত্তরবঙ্গের নাম অবশ্যই থাকবে। দার্জিলিং, কালিম্পং,
কার্শিয়াং, সিকিম এইসব জায়গা বাদ দিয়ে এবার
ঘুরে আসুন কলকাতার কাছাকাছি এই সুন্দর শৈল শহর থেকে। একদম কম খরচে দারুণ পাহাড়ি
দৃশ্য দেখতে অবশ্যই এখানে ঘুরে আসুন।
পুরীতে বাঙালি পর্যটকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি হবে বঙ্গনিবাস
কলকাতার কাছের এই শৈল শহরে গেলে আপনি
একসঙ্গে পাবেন পাহাড়, ঝর্ণা এবং জঙ্গলের
আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই
জায়গাটির নাম হলো ওড়িশার মহেন্দ্রগিরি। ওড়িশা বলতে অনেকেই বোঝেন সকলের পরিচিত গোপালপুর, পুরী কিংবা চিলকা। কিন্তু চিরাচরিত জায়গা থেকে এটি একেবারেই
আলাদা। একটি সম্পূর্ণ অফবিট একটি স্থান। বহু পর্যটক রয়েছেন যারা নির্জন এবং শান্ত পরিবেশ বেশি পছন্দ করেন। তাদের জন্য এই শান্ত পরিবেশ একেবারে আদর্শ। এখানে একবার গেলে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যাবেন আপনিও।
শীতের ছুটিতে পাহাড়ে ঘুরতে যাবেন, তার আগে জেনে নিন মাউন্টেন সিকনেস সম্পর্কে
কীসের আকর্ষণে
পর্যটকরা এখানে আসেন
এখানে একবার গেলে দেখতে পাবেন সবুজে ঘেরা পাহাড় এবং জলপ্রপাতের অতুলনীয়
সৌন্দর্য। এখানকার মাকাডারিয়া জলপ্রপাত খুবই জনপ্রিয় এবং এর পাশাপাশি রয়েছে
মহেন্দ্র তনয়া নদী। যারা নদীপ্রেমী পর্যটক তাদের পক্ষে মহেন্দ্রগিরি একটি আদর্শ
জায়গা। মহেন্দ্রগিরি পাহাড় থেকে নেমে এসেছে এই নদীটি। শুধু উত্তরবঙ্গেই নয়
ওড়িশার এই জায়গাটিতে গেলেও বিভিন্ন নদী এবং জলপ্রপাতের সৌন্দর্য দেখতে পাবেন।
এখানে রয়েছে একটি জনপ্রিয় মন্দির
যেখানে কুন্তী পূজা করা হয়। তাই মন্দিরটির নাম হল কুন্তী মন্দির। এই মন্দিরের
কাছাকাছি অবস্থিত আরো একটি মন্দির যা যুধিষ্ঠিরের মন্দির এবং এটি পরিচিত শিব
মন্দির হিসাবেই। সূত্র থেকে জানা যায় যে এই মন্দিরটি প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো।