বিয়ের আগে সঙ্গীনিকে নিয়ে যতই প্রি-হানিমুন করে থাকুন না কেন বিয়ের পর প্রথম
মধুচন্দ্রিমার অনুভূতিটি একেবারেই আলাদা। কোথায় যাবেন কতদিন থাকবেন তা নিয়ে সকলেই
প্ল্যান করে থাকেন প্রায় বিয়ের ছয়মাস আগে থেকেই। কারও পছন্দ সমুদ্র তো কারও মন পড়ে
আছে জঙ্গলে। জীবনসঙ্গীর হাতে হাত রেখে জীবনের নতুন পর্বের শুরুটা যদি পাহাড় থেকে করতে
চান, তা হলে বেছে নিতে পারেন কালিম্পংয়ের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম লাংসেল।
জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে লাংসেলের। পাথরঝোড়া চা বাগান
থেকে ১২ কিলোমিটার চড়াই রাস্তা পার হয়ে তবে পৌঁছতে হবে এই গ্রামে। পাহাড় বেয়ে নেমে
আসছে ঝর্নার জল। লাংসেলের প্রতিটি রাস্তা কাঁচা। লাংসেলকে বেড় দিয়ে বয়ে চলেছে নাম
না-জানা পাহাড়ি নদী। সঙ্গীর হাত ধরে হারিয়ে যেতে পারেন সেই পাহাড়ি পরিবেশে। নানা
ধরনের পাহাড়ি ফুল চারপাশটা রঙিন করে তুলেছে। লাংসেলের পরিবেশে মন শান্ত হয়ে যাবে।
রাতে ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ আর মিটিমিটি আলোয় ভরে যাবে মন।
আরও পড়ুন: Nudist Village: এই গ্রামে কেউ পোশাক পরে না, যারা বেড়াতে আসে তাদের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে করে নামতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখান
থেকে গাড়ি ভাড়া করে কালিম্পং। আবার সেখান থেকে আরও একটি গাড়িতে অল্প কিছু ক্ষণের
পথ গেলেই পৌঁছবেন লাংসেলে।