ভারতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে যেসব প্রাণী রোদের কারণে নিজেদের জায়গায় লুকিয়ে থাকে, তারা শীত মরসুমে সূর্যের আলো নিতে বের হয়। যার কারণে বন্য প্রাণীরা গ্রীষ্মের চেয়ে শীতল আবহাওয়া বেশি পছন্দ করে। এই মরসুমে তাদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কখনও কখনও বন্যপ্রাণীর সৌন্দর্য মনকে দারুণ স্বস্তি দেয়, যার কারণে ভ্রমণকারীরা জঙ্গল সাফারির পরিকল্পনা করেন। জঙ্গল সাফারি যেকোনও স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সেখানে বসবাসকারী উপজাতি সম্পর্কে তথ্য দেয়। আজকের নিবন্ধে, আমরা আপনাকে ভারতের জঙ্গল সম্পর্কে বলব যেখানে আপনাকে অবশ্যই জঙ্গল সাফারি করতে যেতে হবে, তাই আসুন জেনে নেই ভারতের এই জায়গাগুলি সম্পর্কে।

জিম করবেট রাষ্ট্রীয় উদ্যান

এই জাতীয় উদ্যানটি ভারতের প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে একটি। এই পার্কটি উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত, যা ১৯৩৬ সালে শুরু হয়েছিল। এই পার্কটি ১৩১৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যেখানে অনেক প্রজাতির পাখি, গাছপালা এবং প্রাণী দেখা যায়। জঙ্গল সাফারি হল এখানকার সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি, যেখানে আপনি কেবল দেশীয় নয়, বিদেশী প্রাণীও দেখতে পাবেন। এখানে জঙ্গল সাফারি করা হয় জিপ এবং হাতির মাধ্যমে। আপনি যদি শীতকালে এখানে বেড়াতে যান, তবে আপনার বিভিন্ন ধরণের প্রাণী দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুধওয়া জাতীয় উদ্যান

উত্তর প্রদেশে অবস্থিত, এই জাতীয় উদ্যানটি ৪৯০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই প্রাণীর দুর্গটি হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত। বলা হয় যে তরাই অঞ্চলে খুব কম জাতীয় উদ্যান রয়েছে, যার মধ্যে এই জাতীয় উদ্যান রয়েছে। শীতের সকালে বন্য প্রাণী দেখার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আপনি যখনই সাফারিতে যান, সকালে যান যাতে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক প্রাণী দেখার সুযোগ পান। সাফারির সময় আপনি এখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, গন্ডার, সাম্বার হরিণ, চিতল এবং হগ ডিয়ারের মতো বন্য প্রাণী দেখতে পাবেন। তাই আপনি যদি উত্তর প্রদেশের কাছাকাছি থাকেন, তাহলে আপনি দুধওয়া জাতীয় উদ্যান দেখার পরিকল্পনা করতে পারেন। রাজস্থান রাজ্যে অবস্থিত, এই পার্কটি ভারতের সুপরিচিত জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে গণনা করা হয়। সওয়াই মাধোপুর জেলায় এই উদ্যানটি তৈরি করা হয়েছে।

রণথম্বোর ন্যাশনাল পার্ক

এটি একটি টাইগার রিজার্ভ যা ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস এখানে ভ্রমণের সেরা সময়। এই জাতীয় উদ্যান কর্ণাটক রাজ্যে অবস্থিত। যা প্রায় ৮৮০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এখানে আপনি সাফারির সময় অনেক ধরণের প্রাণী এবং পশু পাখির প্রজাতি দেখতে পাবেন। শীতকালে এখানে অনেক ধরনের পাখি পাড়ি জমায়, যা এই জায়গাটিকে আরও সুন্দর করে তোলে।

বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান

আপনি যদি দুঃসাহসিক ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান সাফারিতে যেতে হবে। এই জাতীয় উদ্যান ১৯৬৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল। এই পার্কটি বিশেষ করে বাঘের জন্য পরিচিত। এই জায়গাটি ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারদের অন্যতম প্রিয় জায়গা। এখানে অবস্থিত পাহাড়ের নামানুসারে স্থানটির নামকরণ করা হয়েছে।