গ্রীষ্মের ছুটিরও নিজস্ব মজা আছে। মানুষ সাধারণত গরমকালে শীতল জায়গায়
গ্রীষ্মের ছুটি উদযাপন করতে পছন্দ করে। ভারতে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে গ্রীষ্মকালেও তাপমাত্রা ৬-১০ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে।
কেদারনাথ: কেদারনাথে যাওয়া সবারই
স্বপ্ন। দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম কেদারনাথের আবহাওয়া খুবই মনোরম। গরমের কারণে যখন সবার অবস্থা বিপর্যস্ত, তখন এই স্থানে আকর্ষণ আলাদা। সেই সঙ্গে
হয়ে যাবে কেদারনাথ দর্শনও। গ্রীষ্মকাল এই স্থানে ঘুরে আসার জন্য
সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: Wedding Gift Tips: শুভ-অশুভ মেনে বিয়েতে বর-কনেকে কী উপহার দিন, রইল টিপস
স্পিটি ভ্যালি: গ্রীষ্মের ছুটি কাটানোর জন্যও স্পিটি
ভ্যালি অন্যতম সেরা জায়গা। এখানে এসে আপনি চন্দ্রতাল, সুরজ তাল, ধনকার মঠ, কুংজুম পাসের মতো অনেক জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন। এখানে
তাপমাত্রা কখনও কখনও -২ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায়।
আরও পড়ুন: Chapati Movement: রুটিই হয়ে উঠেছিল 'অস্ত্র', ভারত ইতিহাসের এই আন্দোলন আজও রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে
শোনমার্গ: আপনি যদি কাশ্মীর না
দেখে থাকেন তবে এই গ্রীষ্মের ছুটিতে ঘুরে দেখার পরিকল্পনা করুন। জুন মাসে পুরো
পরিবার নিয়ে শোনমার্গ যেতে পারেন। এই সময়ে সেখানে
তাপমাত্রা ৭-১২ ডিগ্রী পর্যন্ত থাকে। এখানকার শিকারা নৌকা যাত্রা সকলের মনকে আনন্দিত করবে। এর
সঙ্গে গন্ডোলা রাইড, জেফ সাফারি, বিখ্যাত টিউলিপ গার্ডেন, মিউজিয়াম এবং আরও অনেক কিছু উপভোগ করতে পারেন। এমনকি
কাশ্মীরি খাবার এবং পশমিনা শাল কেনাকাটাও করতে পারেন।
কল্পা: হিমাচলের কল্পাও গ্রীষ্মের ছুটি
উদযাপনের জন্য সবচেয়ে বিশেষ। কিন্নৌরে অবস্থিত কল্পা গ্রাম শতদ্রু নদীর তীরের সৌন্দর্য বর্ণনা করে। শীতল বাতাস এবং খাবার
খাওয়ার আনন্দ এই স্থানটিকে বিশেষ করে তোলে। রয়েছে সুন্দর সুন্দর
মঠ, মন্দির। এখানকার
তাপমাত্রা এবং আপেল বাগান আপনার ভ্রমণে প্রাণ যোগাবে।
সেলা পাস: শুধু হিমাচল-উত্তরাখণ্ড
নয়,
উত্তর-পূর্বও গ্রীষ্মে ভ্রমণের জন্য খুব ভাল। অরুণাচল
প্রদেশের তাওয়াং থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে
অবস্থিত সেলা পাসটি খুব সুন্দর। তাওয়াং এবং সেলা পাস দর্শনীয় স্থান। জুন মাসে
এখানে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি পর্যন্ত
থাকে।
দার্জিলিং: আপনি যদি শীতল জায়গায়
গ্রীষ্মের ছুটি কাটানোর কথা ভাবছেন, তাহলে দার্জিলিংও সেরা বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। এখানে দিনের তাপমাত্রা ২০-২১ ডিগ্রি এবং রাতে ১২-১৩ ডিগ্রি পর্যন্ত থাকে। অনেক এলাকা খুব
ঠান্ডা।