কর্মজীবনে ব্যস্ততার মাঝে দুই-একদিনের ছুটি পেলে অনেকেই
ঘুরতে যান। তবে দিঘা, পুরি কিংবা দার্জিলিং তো অনেকেই গিয়েছেন। এবার কাছাকাছি অফবিট
জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। শহরের কোলাহল থেকে শান্ত এবং মনোরম পরিবেশ মন জয় করতে
পারে আপনার। এমনই কয়েকটি অফ বিট জায়গার সন্ধান দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে।
সানটুক
কালিম্পংয়ের কাছেই রয়েছে এই গন্তব্য।
পাহাড়ের গা বেয়ে রয়েছে ঝুলন্ত বিছানা। এখানে আসলে সুইং বেডে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা উপভোগ করতে পারবেন। সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ
এবং পাখির কোলাহল মন জয় করে নিতে আপনার। কালিম্পংয়ের আলগারা
হয়ে সানটুক যেতে পারেন। কালিম্পং বাজার থেকেই গাড়ি পেয়ে যাবেন। এছাড়া শেয়ার গাড়িতে মাত্র ৭০
টাকাতেই আলগারা যাওয়া যায়। কালিম্পংয়ের অন্যান্য পাহাড়ি
গ্রামের মত নির্জন, শান্ত এই ঠিকানা।
বাঁকিপুট
কলকাতার কাছেই রয়েছে বাঁকিপুটের সমুদ্র সৈকত। এছাড়াও বগুরান
জলপাই থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এখানকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান দরিয়াপুরের ৯৬ ফুট
উঁচু বাতিঘর। বিস্তৃত সমুদ্রের অসাধারণ ভিউ পয়েন্ট দেখা যাবে এখানে। পাশাপাশি রসুলপুর নদী এবং
বঙ্গোপসাগরের মিলন স্থল দেখতে পাবেন এখানে। শোনা যায়, সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
তাঁর কিংবদন্তি উপন্যাস 'কপালকুন্ডলা'র প্লট এই জায়গা থেকেই পেয়েছিলেন। যে কোনও দিঘাগামী
ট্রেনে উঠে কাঁথি স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে
অবস্থিত বাঁকিপুট।
Deomali: শৈশবে বইয়ে পড়া ডুডুমার ডাক শুনতে চান, তাহলে সপ্তাহান্তের ছুটিতে অনায়াসেই যেতে পারেন এই স্থানে
Weekend Travel Destination: বর্ষার আমেজে ছুটি পেলেই আপনার গন্তব্য হতেই পারে এই স্থানগুলি
গোপালপুর
ওড়িশায় অবস্থিত গোপালপুর জায়গাটি অনেকেরই অজানা। এখানে আসলে পাহাড়
এবং সমুদ্র দুইয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। গোপালপুরের অন্যতম আকর্ষণ হল তারাতারিণী মন্দির। পৌরাণিক মতে, সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম একটি অংশ এটি। মন্দির থেকে কিছুটা দূরেই চিলকা হ্রদের একটি অংশ রয়েছে। যার চারপাশে ঘিরে রয়েছে পূর্বঘাট পর্বতমালা। এখান
থেকেই নৌকা করে চলে যেতে পারেন ব্রেকফাস্ট আইল্যান্ড। হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী
যে কোনও ট্রেনে উঠে ব্রহ্মপুর আসতে হবে। সেখান থেকে সহজেই
গোপালপুর অন সি পৌঁছানো যাবে।