কিছুদিন আগে
লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে স্নোরকেলিং করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায়
পোস্ট করেন বিভিন্ন ছবি। দেশবাসীকে আহ্বান জানান, বিদেশে
ভ্রমণের বদলে লাক্ষাদ্বীপ ঘুরে দেখার জন্য। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে
আক্রমণ করে মলদ্বীপের কয়েকজন সরকারি কর্তা। তাঁরা বলেন মলদ্বীপের থেকে পর্যটকদের
নজর ঘোরাতেই নাকি লাক্ষাদ্বীপকে তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা দেখার পর বহু
ভারতীয়ই এখন মলদ্বীপ যাত্রা বাতিল করেছেন। ঠিক করেছেন লাক্ষাদ্বীপ যাবেন বেড়াতে।
এই মুহূর্তে লাক্ষাদ্বীপ যেতে চাইলে জেনে নিন সেখানকার কোন কোন স্থানে অবশ্যই
যাবেন।
লাক্ষাদ্বীপ
বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন। ৩৬টি ছোট ছোট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে তৈরি
লাক্ষাদ্বীপ। লাক্ষা, আমিনদিভি ও মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে প্রায় ৩২
বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে লাক্ষাদ্বীপ।লাক্ষাদ্বীপ পর্যটন বিভাগ থেকে
স্পেশাল পারমিট নিয়ে আপনাকে লাক্ষাদ্বীপ যেতে হবে। অক্টোবর থেকে মার্চ হল
লাক্ষাদ্বীপ বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময়। ৫-৬ দিনের ছুটিতে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন
লাক্ষাদ্বীপ।
আগাত্তি
দ্বীপপুঞ্জ:
লাক্ষাদ্বীপের গেটওয়ে বা প্রবেশদ্বার আগাত্তি। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর লেগুনগুলোর
মধ্যে একটি হল এই আগাত্তি। এখানকার সুন্দর সমুদ্র সৈকত আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
মনোমুগ্ধকর। এখানে সুইমিং, স্নরকেলিং, কায়াকিংয়ের
মতো ওয়াটার স্পোর্টস করার সুযোগ রয়েছে।
বাঙ্গারাম
দ্বীপপুঞ্জ: আগাত্তির
খুব কাছেই অবস্থিত এই বাঙ্গারাম দ্বীপ। এটা লাক্ষাদ্বীপের একমাত্র দ্বীপ যেখানে
কোনও জনবসতি নেই। ফসফোরেসেন্ট প্লাঙ্কটনের জন্য বাঙ্গারাম দ্বীপ আসেন পর্যটকেরা।
অর্থাৎ, এই সমুদ্র সৈকত রাতে নীলাভ হয়ে ওঠে প্রবাল বালির
কারণে। এখানে এশিয়ান ডলফিন, ফ্রগফিশ, অক্টোপাস
দেখতে পাবেন।
মিনিকয়
দ্বীপপুঞ্জ: মূল অঞ্চল
করে বিচ্ছিন্ন মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জ। উত্তর দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে
অবস্থিত মিনিকয়। এটাও লাক্ষাদ্বীপের অন্যতম বড় লেগুন। এখানে ১১টি গ্রামের
ক্লাস্টার রয়েছে যা আভাহ নামে পরিচিত।
কালপেনি
দ্বীপপুঞ্জ: স্বচ্ছ নীল
জল আর নীল দিগন্ত একসঙ্গে মিশে যায় কালপেনি দ্বীপপুঞ্জে। মলদ্বীপের থেকে কোনও অংশে
কম নয় কালপেনি দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপপুঞ্জেও আপনিও সুইমিং, স্নরকেরিং
ইত্যাদি ওয়াটার স্পোর্টস করতে পারবেন।
কাভারাত্তি
দ্বীপপুঞ্জ: এই সুন্দর
লেগুনটি পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এখানকার স্থানীয় বাজার থেকে শুরু করে মসজিদ
দর্শনীয় স্থান। মারিন অ্যাকোরিয়াম, উজরা মসজিদ ইত্যাদি ঘুরে দেখতে
পারেন এখানে।