সারা বছরই মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন
পুজোর চারদিনের জন্য। পুজো মানেই হইহুল্লোড়, নতুন জামার গন্ধ, জমিয়ে খাওয়াদাওয়া
আর লম্বা ছুটি। এই চারদিনের আনন্দে সকলেই মেতে ওঠেন।
তবে পুজোর সময় অনেকেই বেড়াতে যান। তার পরিকল্পনা করতে হয় বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই।
হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে ট্রেনের টিকিট, সবেতেই লম্বা লাইন পড়ে। তাই ৫০০০ টাকার মধ্যেও কিন্তু ঘুরে আসা সম্ভব।
দার্জিলিং
অক্টোবরের শেষ দিকে পুজো। বাতাসে বর্ষা আর শীতের যৌথ আবহাওয়া থাকলেও গরম
যে কমবে না, তা বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে। তাই উত্তুরের হাওয়া গায়ে মাখতে যেতে পারেন দার্জিলিং।
বাঙালির অন্যতম পছন্দের জায়গা। বার বার গিয়েও পুরনো হয় না যেন। পুজোর চারটি দিন টাইগার
হিল, বাতাসিয়া লুপ, কাঞ্চনজঙ্ঘা, মল রোড, পাহাড়ি রাস্তা আর চা বাগানে ঘুরে মন্দ কাটবে
না।
কী ভাবে যাবেন?
দার্জিলিং মেল, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস, কাঞ্চনকন্যা, শতাব্দী
এক্সপ্রেস, তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস— শিয়ালদহ থেকে দার্জিলিং যাওয়ার প্রচুর ট্রেন
রয়েছে। ব্যাগপত্তর গুছিয়ে কোনও এক দিন স্লিপার কোচে উঠে পড়লেই হল। টিকিটের দাম ৩৬০
টাকার আশপাশে। সেখান থেকে গাড়ি করে সোজা দার্জিলিং। গাড়িতে মাথাপিছু ভাড়া ২৫০ টাকা।
কোথায় থাকবেন?
দার্জিলিং-এ প্রচুর হোম স্টে রয়েছে, আছে হোটেলও। নানা রকম ভাড়ার হয়। অনায়াসে
মাথাপিছু ৫ হাজার টাকার মধ্যে দিন দুয়েকের দার্জিলিং ভ্রমণ সেরে আসা যায়।
ঘাটশিলা
কয়েক দিনের ছুটির ঠিকানা হতেই পারে ঘাটশিলা।সুর্বণরেখা নদীর হাওয়ায় ধুয়ে
যাবে সারা বছরের ক্লান্তি। একটা বছর রাত জেগে ঠাকুর না দেখে বরং ফুলডুংরি টিলা, ধারাগিরির
ঝরনা, বুরুডি লেক, পঞ্চপাণ্ডব পাহাড়, রাতমোহনা, গালুডিহি ব্যারেজ দেখতেই পারেন।
কী ভাবে যাবেন ঘাটশিলা?
হাওড়া থেকে ঘাটশিলার উদ্দেশে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ছাড়ে সকাল ৬টা ২০ মিনিটে।
এ ছাড়াও রয়েছে হাওড়া ইস্পাত এক্সপ্রেস, স্টিল এক্সপ্রেস, টাটানগর ফেস্টিভ্যাল স্পেশ্যাল।
ঘাটশিলা যাওয়ার ট্রেনের ভাড়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।
ঘাটশিলা স্টেশনে নেমে বেশ কিছু অটো এবং গাড়ি আছে। তবে আগে থেকে বুক করে
গেলে সুবিধা হবে।
কোথায় থাকবেন?
সকাল ১০টার মধ্যে ঘাটশিলা পৌঁছে গেলে সে দিনই সন্ধ্যার ট্রেন ধরে রাতে ফিরে
আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে থাকার জন্য আলাদা খরচ হবে না। শুধু খাওয়ার খরচ। হোম স্টেগুলির
প্রতি রাতের ভাড়া পড়বে খাওয়াদাওয়া-সহ ১০০০-১২০০ টাকা।