বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। দুদিন ছুটি পেলেই দিঘা, পুরী অথবা
দার্জিলিং ঘুরে আসেন সকলে। আর যদি অফিসে বলে কয়ে সিএল-পিএল নিয়ে যদি দিন সাতেকের
ছুটি পাওয়া যায় তাহলে চলো পাহাড় অভিযানে। মধ্যবিত্ত বাঙালিড় কাছে পাহাড় মানেই সাধ
আর সাধ্যে কুলিয়ে যাওয়া সিকিম। সিকিম যেতে গেলে এখনও পর্যন্ত ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি
নামতে হয়। তারপর ওখান থেকে ভাড়া গাড়ি অথবা বাস। অর্থাৎ ব্রেক জার্নি। দমদম থেকে
যাওয়া যায় বিমানে। সেভাবে যেতে গেলে ভরসা বাগডোগরা এয়ারপোর্ট। নাহলে বাস তো আছেই,
সেও কলকাতার ধর্মতলা থেকে ছেড়ে নামায় শিলিগুড়ি। হাওড়া থেকে সিকিম একবারে যাওয়া যায়
এখনও এমন কোনও ট্রেন নেই। অথচ পাহাড়ে সবচেয়ে বেশি যান বাঙালি। এবার পর্যটকদের কথা
মাথায় রেখে আসতে চলেছে সুখবর।
রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৪ সালে রেল
(Indian Railways) পরিষেবার একটি বড় উপহার পেতে
চলেছে সিকিম (Sikkim)। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) ও সিকিমের মধ্যে
সেবক-রংপো (Sevoke Rangpo) রেল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের
পথে। পশ্চিমবঙ্গের সেবক এবং সিকিমের রংপোর মধ্যে এই রেলপথটি নির্মিত হচ্ছে। আশা
করা যাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাকি অংশের সঙ্গেও এই রেলপথ যুক্ত হবে। এই সুখবর জানিয়েছেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর মহিন্দর সিং।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মহিন্দর জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক
থাকলে সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের শুরুতেই উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট্ট রাজ্য
সিকিমের সঙ্গে রেল যোগাযোগের সমস্ত কাজ শেষ করে রেল দফতরকে হস্তান্তর করে দেওয়া
হবে। ইতিমধ্যেই টানেল নম্বর ৩-এর ব্রেকথ্রু সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি ৪৫
কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এতে পাঁচটি স্টেশন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১৪টি টানেল,
১৭টি রেল সেতু। পুরো প্রকল্পের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার টানেলের মাধ্যমে এগিয়ে
যাবে। টানেল নির্মাণের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। হয়ে গিয়েছে ছয়টি সুড়ঙ্গ
খনন, আরও অনেকগুলি শেষের প্রায় কাছাকাছি।