বেড়াতে যেতে কে না ভালবাসেন। কারণ অফিসের কাজের চাপে প্রাণ একেবারে ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। তাই দুদিনের জন‌্য মন চায় কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসতে। আবার শীতের আমেজও হালকা হয়ে গিয়েছে। তাই বেশি দূরে যাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। কাছেপিঠে কোওয়া ভ্রমণে যাওয়া যায়।

কেউ কেউ রাজবাড়ি যেতে খুবই পছন্দ করেন তাই কলকাতা থেকে ৪ ঘণ্টা দূরত্বে রয়েছে বাড়ি কোঠি। পূর্ব ভারতের প্রথম বিলাসবহুল ও ঐতিহ্যবাহী হোটেল বাড়ি কোঠি। মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জের হেরিটেজ হোটেল এই বাড়ি কোঠি।

১৭০০ সালে বাড়ি কোঠি তৈরি করে শেরাওয়ালি পরিবার।মূলত রাজস্থান থেকে এই ব্যবসায়ী পরিবার মুর্শিদাবাদে আসে। তারপরই এখানে থাকতে থাকতে এখানেই জমিদারি স্থাপন করে। সেই সময় প্রায় ২০-৩০টা শেরাওয়ালি পরিবার থাকত এই বাড়ি কোঠিতে। কিন্তু আস্তে আস্তে কোঠি স্থাপত্য ধীরে-ধীরে নষ্ট হতে থাকে।

প্রায় পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।এরপর ২০১৫ সালে কানাডিয়ান স্থাপত্যশিল্পী সমর চন্দ্র এই বাড়ি কোঠি সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার করে। তারপরই বাড়ি হয়ে ওঠে পূর্ব ভারতের প্রথম হেরিটেজ হোটেল । তবে সব থেকে বড় চমক হল বাড়ির ভিতরে রয়েছে নাটমন্দির, যেখানে আজও ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়। আপনিও চাইলে এখানে রাত কাটাতে পারেন। থাকা খাওয়ারও ব‌্যবস্থা রয়েছে। এক রাতের খরচ খাওয়া-দাওয়া নিয়ে প্রায় ১৪-২১ হাজার টাকার মতো।