চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্স করলেন ঋদ্ধিমান সাহা। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখা যায়নি তাঁকে। আইপিএল ফাইনালে সেই ঋদ্ধিমানই ভাল ব্যাটিং করে সমালোচকদের মোক্ষম জবাব দিলেন।
কলকাতায় দীর্ঘদিন থাকতেন ঋদ্ধি। কিন্তু নাইট রাইডার্সের নজর কখনওই তাঁর দিকে পড়েনি। আইপিএল ফাইনালে যেখানে শুভমন গিলের মত ইনফর্ম প্লেয়ার ব্যর্থ হলেন বড় রান করতে, সেখানে জ্বলে উঠল ঋদ্ধির ব্যাট। প্রয়োজনের সময় নিজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার আরও একবার প্রমাণ দিলেন বাংলার ছেলে। ৫৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন পাপালি। শুধু তাই নয়, সেন ওয়াটসনের পর আইপিএল ইতিহাসে বয়স্ক ক্রিকেটার হিসেবে অর্ধশতরান করলেন তিনি।
গুজরাতের বিরুদ্ধে মেগা ফাইালে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন সিএসকে অধিনায়ক ধোনি। টস হেরে শুরুটা ভালই করেন গুজরাতের দুই ওপেনার শুভমন ও ঋদ্ধিমান। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলেন দুই তারকা। দীপক চহারের তৃতীয় ওভারে একটি বিশাল ছক্কা ও দুটি অনবদ্য চার মেরে ঋদ্ধি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আজ তাঁর দিন। অপরদিকে, গিলের একটি ক্যাচ ফেলার পর তিনিও আক্রমণাত্মক রূপ ধারণ করেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন ঋদ্ধি-গিল জুটি।দলের ৬৭ রানের মাথায় জাদেজার বলে গিলকে বিদ্যুতের গতিতে স্টাম্প করেন ধোনি। এরপর সাই সুদর্শনের সঙ্গে ফের পার্টনারশিপ গড়া শুরু করেন বাঙালি ক্রিকেটার। সুদর্শন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাটিং করছিলেন, সেই সময় অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়ে ঠান্ডা মাথায় ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান ঋদ্ধি। সাই সুদর্শন ও ঋদ্ধিমান অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন। ৩৬ বলে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন ঋদ্ধি। বড় ম্যাচে বড় রান করায় পুরো গুজরাত ডাগআউট দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান ঋদ্ধিকে।