আইএসএল ফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি'কে হারিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হল মোহনবাগান। প্রথমবার আইএসএল জয়ের পিছনে মূল কারিগর হিসাবে মনে হচ্ছে গোলরক্ষক বিশাল কাইথ'কে। টাইব্রেকারে তাঁর দাপটেই হার হজম করতে হয় সুনীল ছেত্রীর দলটিকে। তবে শনিবার ফাইনালে পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল দিমিত্রি পেত্রাতোসের পারফরম্যান্স'ও। তাঁর পায়ে ভর দিয়েই খাদের কিনারা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছিল সবুজ-মেরুন।
রয় কৃষ্ণ'র ভুলে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন দিমিত্রি। তবে প্রথমার্ধের শেষে চাপমুক্ত হয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তাঁরা। শুভাশীষের গাফিলতির কারণে বড় মূল্য চোকাতে হয় সবুজ-মেরুনকে। কৃষ্ণ'কে বক্সের ভিতর মারেন শুভাশীষ। পেনাল্টি পেয়ে দলকে সমতায় ফেরান সুনীল ছেত্রী। এরপর কৃষ্ণ'র সৌজন্যে লিড নেয় বেঙ্গালুরু। তখনও মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন 'দিমি'। হাতে ছিল মাত্র মিনিট। একাধিকবার মাঝমাঠ এবং ডিফেন্সে এসে বল চাইছিলেন, পায়ে বল নিয়ে খেলা প্রসারিত করছিলেন মাঠের দুই দিক ব্যবহার করে। কিন্তু তাও যেন স্বস্তি পাচ্ছিলেন এই স্ট্রাইকার। এরপর 'লাকি চ্যাম্প' হয়ে শুভাশীষের বদলে মাঠে নামলেন কিয়ান নাসিরি।
তরুণ ফুটবলার মাঠে নামার এক মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। প্রথম সুযোগে গোল করেছিলেন দিমিত্রি। তাই দ্বিতীয়বার তাঁর পায়েই বল তুলে দেন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল। গুরপ্রীত বেশ খানিকটা দীর্ঘকায়। তারউপর গোলরক্ষক! বাড়তি সুবিধা ছিল বেঙ্গালুরুর দিকে। কিন্তু সে সব কিছু যেন তুরি মেরে ওড়ালেন দিমিত্রি। পেনাল্টি থেকে প্রথমবার যেমন বাম দিকে মেরে গোল করেছিলেন, দ্বিতীয়বারও একই কাজ করলেন তিনি। ফলাফলও হল তাঁর অনুকূলেই। ৮৫ মিনিটে দিমিত্রির গোলে ভর করে লড়াইয়ে ফিরল বাগান। তা না হলে গতবারের মতো এবারও আইএসএল হেরে কলকাতায় ফিরতে হত মোহনবাগানকে। আইএসএল ফাইনালে 'হিরো অফ দ্য ম্যাচ' ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে কোনও খেতাব জিততে পারেননি দিমিত্রি। তবে এই বিদেশি স্ট্রাইকার মেরিনার্সদের মন জিতে নিয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য। কারণ তাঁর লড়াই ম্যাচে টিকে থাকার জন্য রসদ জুগিয়েছিল সবুজ-মেরুন'কে।