ক্রীড়াক্ষেত্রে সাধারণত পাকিস্তান’কে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল বলা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক
সময়ে সেই জায়গাটা দখল করে নিয়েছে আফগানিস্তানও, এমনটাই মনে করেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। আগামী শুক্রবার (২২ মার্চ) বিশ্বকাপের
বাছাই পর্বে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবেন ইগর স্টিম্যাচের ছাত্ররা। গুরুত্বপূর্ণ
এই ম্যাচে নামার আগে অতীতের সোনালি স্মৃতিতে ডুব দিলেন সুনীল।
Kolkata Derby: ডার্বি'তে East Bengal'কে পাঁচ গোল দিল Mohun Bagan
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৫ বছরের ফুটবল ইতিহাসে নেপালের পর আফগানিস্তানের
বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে ব্লু ব্রিগেড। পরপর তিনবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের
ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে তারা। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দু’বার এবং এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বেও একবার আফগানদের বিরুদ্ধে
খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। তাই প্রতিপক্ষকে নিজের হাতের তালুর মতো চেনেন সুনীল।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন-এর ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ওরা আগের চেয়ে এখন অনেক উন্নতি করেছে। দুই দেশ একই মহাদেশে, তাই আমরা এখন যেন একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গিয়েছি।
আমাদের মধ্যে এখন উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই হয়। কারণ, গত এক দশকে দুই দেশই ফুটবলে উন্নতি করেছে। ওদের খেলোয়াড়রা এখন দেশের বাইরে
গিয়ে খেলে অনেক উপকৃত হয়েছে।”
প্রয়াত ক্রীড়া সাংবাদিক মানস চক্রবর্তী
শুক্রবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে
অ্যাওয়ে ম্যাচের পর আগামী ২৬ মার্চ(মঙ্গলবার) যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফিরতি ম্যাচ
খেলবেন সুনীলরা। দু’বছর আগে এই দলের
বিরুদ্ধেই কলকাতার ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামে আফগানদের হারিয়েছিল ভারতীয় দল। ওই
ম্যাচের অন্তিম লগ্নে সাহাল আব্দুল সামাদের করা গোলে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছিল ভারত।
ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামার আগে সেই সোনালি স্মৃতিতে ডুব দেন সুনীল।
তিনি বলেন, “কলকাতার ম্যাচটা আমার কাছে স্মরণীয়।
সাহালের গোলটাই পুরো ছবিটা পাল্টে দিয়েছিল। সংযোজিত সময়ে ওই দুর্দান্ত জয়সূচক
গোলটা ছাড়া আর কারও কিছু মনে থাকার কথাও নয়। উদান্তা কিছুক্ষণ বল পায়ে রেখে
আশিককে দেয়। আশিকও বল ধরে রাখার পর সাহালকে দেয় ফিনিশ করার জন্য এবং কী অসাধারণ
ফিনিশ করেছিল সাহাল! সেই গোলের স্মৃতি ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ, সেই গোলটাই আমাদের এশিয়ান কাপের মূলপর্বে তুলে দিয়েছিল, তাও আবার টানা দ্বিতীয়বার, যা আগে কখনও হয়নি।”