হরমনপ্রীত-দীপ্তি শর্মা’দের দলের অন্যতম ভরসা স্মৃতি
মন্ধনা। আজ, মঙ্গলবার তাঁরই ২৭তম জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে জেনে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের
অজানা বিষয়গুলি।
অনেকেই জানেন না, স্মৃতি মান্ধানার
বাবা শ্রীনিবাস এবং তাঁর দাদা শ্রমণ কুমার দুই জনেই জেলা স্তরে ক্রিকেট খেলেছেন। স্মৃতি তাঁর দাদাকে দেখেই ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিলেন, আজ সে-ই ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ! স্মৃতি মান্ধানা মাত্র ৯ বছর বয়সে মহারাষ্ট্র অনূর্ধ্ব-১৫ দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। ১১ বছর বয়সে তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা করে
নেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক অদ্ভুত মিল
রয়েছে স্মৃতির। দুই জনই তাঁদের দাদার
ক্রিকেট সরঞ্জাম নিয়ে খেলা শুরু করেন। স্মৃতির দাদা
পরবর্তীতে আর ক্রিকেট খেলেননি। বর্তমানে তিনি একজন ব্যাঙ্ককর্মী। কিন্তু তাঁর বোন গোটা দেশের গর্ব!
মাত্র ১৭ বছর বয়সে স্মৃতি মন্ধানা
প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে ওয়ান ডে ফরম্যাটে সেঞ্চুরি করেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। সেই
সময় রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাট নিয়ে খেলে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে এই নজিরের পর স্মৃতি জানান, তাঁর দাদা বেঙ্গালুরুতে ২০১২ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে
দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেখানে দ্রাবিড়কে স্মৃতির দাদা তাঁর বোনের ব্যাপারে। তা জানতে পেরে দ্রাবিড় তাঁর একটি প্র্যাক্টিস ব্যাট উপহার
হিসেবে দেন স্মৃতিকে। সেই ব্যাট দিয়ে খেলেই আন্তর্জাতিক ওডিআই এবং টি-২০ ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করেন স্মৃতি।
'ভারতীয় দলকে এশিয়ান গেমসে খেলার অনুমতি দিন', প্রধানমন্ত্রী মোদি'কে বিশেষ অনুরোধ কোচ স্টিম্যাচের
ছাঁটাই শুরু করল RCB, চাকরি হারালেন কোহলি'দের দলের এই সদস্যরা
২০১৩ সালে জাতীয় দলে স্মৃতির অভিষেক
হওয়ার পর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাঁকাতে হয়নি। হরমনপ্রীত কৌরের অনুপস্থিতিতে তিনি
বিভিন্ন সময় ভারতীয় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। এখনও
পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে স্মৃতি মন্ধানা ৪টি টেস্ট, ৭৮টি ওডিআই এবং ১১৯টি টি২০ খেলেছেন। ক্রিকেটের এই তিন ফরম্যাটে ৩২৫, ৩০৮৪ এবং ২৮৫৪ রান সংগ্রহ
করেছেন তিনি।