কৌশিক চক্রবর্তী
চেন্নাই
রবিবার বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে চলেছে ভারত। তার আগে পুরোদমে চলছে অস্ট্রেলিয়া বধের মহড়া। শুক্রবার চিপকের প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ডে রাহুল দ্রাবিড়ে সজাগ নজরে অনুশীলন সাড়লেন বিরাট কোহলি-রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা।
এ দিনের অনুশীলনে দারুণ ছন্দে পাওয়া গেল বিরাট কোহলিকে। অনেক দিন পর এই রকম আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেল বিরাটকে। দীর্ঘক্ষণ নেটে ব্যাটিং করার পর মাঠের মধ্যে অনেকটা সময় রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় বিরাটকে। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এ দিন অনুশীলনে নামেননি, শুক্রবার তাঁর ভূমিকা ছিল অনেকটা কোচের মতো। শ্রেয়াস আইয়ারকে অনুশীলনে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েক ওভার অশ্বিনকে সামলাতে দেখা যায় তাঁকে।
ডেঙ্গি আক্রান্ত শুভমন গিল প্রত্যাশা মতোই এ দিন অনুশীলনে নামেননি। তাঁকে অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান ম্যাচে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তা বলে দেওয়াই যায়। কিন্তু গিলকে নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রাখছেন রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় দলের কোচ সরাসরি গিল পাওয়া যাবে না যেমন বলছেন না, তেমনই গিল খেলবে সেই কথাও বলছেন না। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আগের দিনের থেকে ওর কন্ডিশন এখন ভাল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওর খেলার সম্ভাবনা কম। হাতে এখনও সময় রয়েছে, শেষ দিন দেখে সিদ্ধান্ত নেব।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, গিলকে নিয়ে ঝুঁকি কি নেবেন দ্রাবিড়? ভারতের সামনে এখন ১১টা ম্যাচ রয়েছে, আন-ফিট গিলকে যদি খেলানো হয় তার প্রভাব কি পরবর্তী ম্যাচগুলিতে পড়বে না? প্রশ্নটা কিন্তু রয়েই যাচ্ছে। শুভমন গিলকে শেষ পর্যন্ত ভবিষ্যতের কথা ভেবে না খেলালে তাঁর জায়গায় ভারতের প্রথম পছন্দ ঈশান কিষান, এ ছাড়া কেএল রাহুলকেও তাঁর পুরনো পজিশনে সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে আসে উইকেটের প্রসঙ্গও। এই বিষয়ে দ্রাবিড় বলেছেন, “উইকেট একটা ফ্যাক্টর করে। কিন্তু সেটাই সব নয়। প্রতিটা ভেন্যুর উইকেট আলাদ, মাঠ কোনওটা ছোট কোনও বড়, কোনও উকেট লাল মাটির, কোনওটা কালো উইকেট। ফলে এটা অজুহাত নয়। যে কোনও উইকেটে স্কিল বড় কথা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ থাকে না কিন্তু পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে দক্ষতা প্রকাশ করার অনেক সুযোগ পায় ক্রিকেটাররা।”
১৬ বছর আগে অধিনায়ক হিসেবে দলকে বিশ্বকাপে খেলিয়েছিলেন, বর্তমানে কোচের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে তিনি দেশকে পথ দেখাবেন চলতি বিশ্বকাপে। এই প্রসঙ্গে তাঁর অভিব্যক্তি জানতে চাওয়া হলে রাহুল দ্রাবিড় বলেন, “১৬ বছর আগে ক্রিকেটার হিসেবে যতটা করা সম্ভব ছিল সেটা করেছি এখন ভূমিকা অন্য। কোচ কখনও একটা উইকেটও নিতে পারে না, একটা রানও করতে পারে না। সেই জায়গায় কোচের কাজ ছেলেদের মোটিভেট করা, সাপোর্ট টিম নিয়ে একটা দলকে গড়ে তোলা। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ সদস্য সমর্থকরা আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, আমাদের ঘিরে প্রত্যাশা তাঁদের প্রত্যাশা রয়েছে। আশা করি সমর্থকদের এই দল নিরাশ করবে না।”