কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
সৃষ্টি সর্বত্র বিরাজমান। সাহিত্যের পাশাপাশি প্রেম, ঈশ্বর, ইতিহাস, বিজ্ঞান, গণিত
থেকে শুরু করে রাজনীতি, শিল্পকলা, দর্শন প্রায় সমস্ত বিষয়েই তাঁর সৃষ্টির অগাধ বিচরণ।
তবে শুধু সাহিত্যে নয়, ক্রীড়াক্ষেত্রেও নিজের ছাপ রেখে গিয়েছেন বিশ্বকবি। এক সময়ে তাঁর
কথা রাখতেই লাল-হলুদের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার সূর্য চক্রবর্তী।
Rabindranath Tagore: কবিগুরুর জন্ম তিথিতে জেনে নিন তাঁর পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা করুণ ইতিহাস এবং সেখান থেকে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের আবির্ভূত হওয়ার কাহিনি
East Bengal FC: ক্লেইটনের পর এবার এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে সই করাতে আগ্রহী ইস্টবেঙ্গল
ইস্টবেঙ্গলের কিংবদন্তি ফুটবলার হয়ে উঠেছিলেন সূর্য। ১৯২৭ সালে লাল-হলুদের অধিনায়ক হয়েছিলেন তিনি। প্রায় এক দশক ময়দানে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই ফুটবলার। সূর্যের মতো উইঙ্গার খুব কমই দেখেছে গোটা
দেশ। কিন্তু অনেকেই জানেন না ঢাকার
বিক্রমপুরের কাইচল গ্রামের এই ছেলের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ওতপ্রোত ভাবে মিশে রয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এ দিন ফেসবুকে একটি রবীন্দ্রনাথ ও
সূর্যের ছবি পোস্ট করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, সূর্যকে
ঠাকুরবাড়িতে থেকে শুধু পড়াশোনা করার আমন্ত্রণই জানাননি রবীন্দ্রনাথ, তিনি দুখিরাম মজুমদারের ফুটবল ক্লাসেও যোগ দেওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জুগিয়ে ছিলেন। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে
খেলার কথাও বলেছিলেন রবি ঠাকুর। ১৯২৫ সালে রবীন্দ্রনাথের
নির্দেশেই লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন সূর্য। ১৯৪৫
সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন পরিতোষ চক্রবর্তী। এই ডিফেন্ডারেরও
লাল-হলুদে খেলার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। তাঁর ফুটবলের প্রতি জ্ঞান ছিল দেখার মতো। নিয়মিত মাঠে খেলা দেখতেন তিনি। এমনকী রবি ঠাকুরের নিজের ফুটবল টিমও
ছিল জানা গিয়েছে। যা ‘বিশ্বভারতী একাদশ’
নামে জনপ্রিয় হয়েছিল। বিশ্বকবি কলকাতার নামি ফুটবল ক্লাব ও কলেজ
টিমগুলিকে আমন্ত্রণ জানাতেন তাঁর শান্তিনিকেতনে গিয়ে, বিশ্বভারতী একাদশের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য। এমনকি যাদের খেলা তাঁর ভাল লাগত তাদের
নিজের দলের হয়ে খেলার জন্যও বলতেন তিনি। আজ বুধবার (৮ মে) তাঁর ১৮৩তম জন্মবার্ষিকী।
গোটা দেশে একাধিক জায়গায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্রজয়ন্তী।
তাই এই বিশেষ দিনে ফিরে দেখা হল তাঁর জীবনের সোনালী ইতিহাস।