কৌশিক চক্রবর্তী
মঞ্চ তৈরি ছিল। দশ বছরের প্রতীক্ষার পর প্রথম বার আইএসএল ফাইনাল আয়োজন করছে কলকাতা। ফুটবল মক্কায় দেশের সেরা লিগের ফাইনালকে অন্যমাত্রা দিতে আয়োজকরা যেমন কোনও খামতি রাখেননি তেমনই আইএসএল-এর দশম মরসুমের ফাইনালকে স্মরণীয় করে রাখল তিলোত্তমার ফুটবলপ্রেমীরা। দশ বছরে একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। এই মাঠেই ২০১৪ সালে উদ্বোধন হয়েছিল আইএসএল-এর।
ঘরের মাঠে ফাইনালের মঞ্চে হাজার-হাজার পালতোলা নৌকার অনুরাগীদের সবুজ-মেরুন রঙে সাজানোর শপথ নিয়ে মাথে নেমেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস-জেসন কামিন্সরা। স্টেডিয়াম ভর্তি সমর্থকের শব্দব্রহ্ম এবং প্রত্যাশার চাপ কাটিয়ে উঠতে পরাল না মোহনবাগান।
বাষোট্টি হাজারি স্টেডিয়ামের সামনে নতমস্তক হয়ে মাঠ ছাড়তে হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে। মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে মেগা ফাইনালে ১-৩ গোলে পরাজিত হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
দেশের অন্যতম সেরা ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে ব্যর্থ হয় মোহনবাগান। প্রথম মিনিট থেকে একের পর এক আক্রমণ তুলে মোহনবাগান ডিফেন্সকে ব্যস্ত রাখে পিটার ক্রাটকি’র দল। মুহুর্মুহু আক্রমণ সামলাতে হয় বিশাল কাইথ-শুভাশিস বসুদের। আক্রমণের ঝাঁঝ এতটাই বেশি ছিল যে মোহনবাগান হাতেগুনে কতবার এই অর্ধে আক্রমণে গিয়েছে তা হাতে গুণে বলে দেওয়া যায়। তবে, যে তিন-চারটি আক্রমণ তুলে এনেছিল বাগান তার মধ্যে গোলটি তুলে নেয় ৪২ মিনিটে। খেলার গতির বিপরীতে ৪২ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের বক্সের প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট মুম্বই গোলরক্ষক টেম্পা লেচেম্পা ফিস্ট করে রক্ষা করলে ফিরতি বলে বাম পায়ের প্লেসিংয়ে তা জালে জড়িয়ে দেন। মোহনবাগান এগিয়ে প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়লেও অল্পের জন্য গোলহজমের হাত থেকে রক্ষা পায়। ৩৯ মিনিটে বিক্রমপ্রতাপ সিং-এর পাস থেকে লালরিনজুয়ালা ছাংতের শট দ্বিতীয় পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
প্রথমার্ধে একপেশে খেলা প্রাণ সাময়িক প্রাণ ফিরে পায় দ্বিতীয়ার্ধে। এগিয়ে থাকলেও এই অর্ধে অনেক বেশি আক্রমণে ওঠে সবুজ-মেরুন। ইনস্যুরেন্স গোলের খোঁজে দিমিত্রি-লিস্টনদের প্রচেষ্টা এক-দু’টি ক্ষেত্রে বিপদও তৈরি করেছিল। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা দীর্ঘক্ষণ বজায় রাখতে পারেনি অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। ৫৩ মিনিটে আলবার্তো মাঝমাঠ থেকে নাগুয়েরার পস বক্সের মধ্যে হর্হে পেরেরা ডিয়াজ বাম পায়ে রিসিভ করে বাম পায়ের প্লেসিংয়েই দালে জড়িয়ে মুম্বইকে সমতায় ফেরায়। ম্যাচে সমতা ফেরানোর পর দ্বিতীয় গোলের খোঁজে আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠে মুম্বইয়ের দল। ঠিক যেন প্রথমার্ধের অ্যাকশন রিপ্লে। মুম্বইয়ের অ্যাটাকের সামনে মোহবাগানের মরিয়া ডিফেন্স। লাগাতার আক্রমণের ফসল হিসেবে ৮১ মিনিটে মুম্বইয়ের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে যান বিপিন সিং। মাঠে নেমেই নায়ক হলেন বিপিন। ৭৮ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করেন পিটার ক্রাটকি। ডিয়াজকে তুলে নামান জাকুব ভজটুচকে এবং জায়েশ রানের পরিবর্তে নামান বিপিন সিংকে। এই জুটিই মুম্বইকে দ্বিতীয় গোল এনে দেয়। ভজটুচের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন বিপিন। অতিরিক্ত সময়ে মিলিয়ে মোহনবাগানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন দ্বিতীয় গোলের পাস বাড়ানো ভজটুক।
অন্য দিক দিয়ে দেখলে মুম্বই সিটির কাছে শনিবারের রাতটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে মধুর প্রতিশোধের জন্য। এই মাঠেই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে হেরে লিগ শিল্ড হাতছাড়া করেছিল বাণিজ্যনগরীর দল।
???? Sending a gift from our company. Continue > https://script.google.com/macros/s/AKfycby2zfUCYC8YqPfcCmEsw0uvlotK14ifoTf1SVZoIKNu1p3455dR0tsrKNpXEIZj8ELj/exec?hs=e70f1bb5451934419419e65a6a28fec2& ????
May 05, 2024 08:19 [IST]