আইএসএল, সুপার কাপ এখন অতীত। এবার মিশন এএফসি কাপ। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সুপার কাপ নিয়েও আশা আলো দেখেছিল মোহনবাগান। কিন্তু সেই আশায় জল পড়ে গিয়েছে সবুজ মেরুনের। তবে এএফসি কাপ নিয়ে আশাবাদী মোহনবাগান।
এটিকেএমবি মিডিয়া টিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিমিত্রি পেত্রাতোস বললেন, "সুপার কাপে আমরা ভাল ফল করতে পারিনি। এরকম ঘটনা ফুটবলে হতেই পারে। কিন্তু মরসুমটা আমাদের খারাপ যায়নি। লিগে তিন নম্বর, আই এস এল চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। গত কয়েকদিন অনুশীলন ভাল হয়েছে। হায়দরাবাদের শক্তি ও দুর্বলতা সবার জানা। কোচ সেভাবেই অনুশীলন করাচ্ছেন। হ্যামিল যোগ দেওয়ায় সব বিদেশিকেই হাতে পাবেন কোচ। পুরো দল তৈরি। কারা খেলবেন সেটা কোচ ঠিক করবেন। আমি নিজে মানসিকভাবে বাড়তি তাগিদ অনুভব করছি এই ম্যাচটা জেতার জন্য। কারণ সাফল্য নিয়ে দেশে ছুটি কাটাতে ফেরার মজাই আলাদা।"
এএফসি কাপে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ এফসি। এর আগেও এই দলকে হারিয়েছেন শুভাশীষ বসুরা। এই নিয়ে বাঙালি ডিফেন্ডার বলেছেন, "হায়দরাবাদ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। কিন্তু আমি নিজে মনে করি, আমরা যদি ম্যাচটা ওদের উপহার না দিই তা হলে ওরা জিততে পারবে না। আমাদের শুধু নিজেদের টিম গেমটা খেলতে হবে। তা হলেই জিতে যাব। আমাদের দলের যা শক্তি তাতে না হারার কোনও জায়গা নেই। এই ম্যাচের জন্য যা যা করার দরকার সব রকম অনুশীলনই হয়েছে। সব ফুটবলারই সুস্থ। এটা ভাল দিক।" অন্যদিকে আশিক কুরুনিয়ন বলেছেন, "কোজিকোড় আমার নিজের শহর। এখানেই আমি বড় হয়েছি। খুব আশা করেছিলাম সুপার কাপের ফাইনালটা ওখানে খেলব। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় খুব ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু ফুটবলে তো অঘটন হয়। এবার আর সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। হায়দরাবাদকে হারিয়ে নিজের মাঠে মরসুমটা শেষ করতে চাই। এই ম্যাচটা জিততে পারলে আমরা এশীয়ার সেরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে খেলতে পারব। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের মতো ফুটবলারদের কাছে। দেশে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আটকে থাকতে চাই না। দলের সবার যা মানসিকতা তাতে এই ম্যাচটা জেতার জন্য সবাই মরিয়া। আমি তো নিজেকে একশো শতাংস দেওয়ার জন্য তৈরি। ঘরের মাঠে সেরাটা দিতে কে না চায়।"