ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ম্যাচে মরক্কোকে ১-০ গোলে হারিয়ে অভিযান শুরু
করেছে ব্রাজিল। শেষ আটে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বুধবার হলুদ জার্সি পরিহিতদের
বিরুদ্ধে আমেরিকার কড়া চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ব্রাজিল মানেই ফুটবল বিশ্বের কাছে
আবেগ এবং ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে নানা ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন দল
পুরুষ ফুটবলে সারা বিশ্বে দাপট দেখালেও ব্রাজিলের মহিলা ফুটবল কিন্তু প্রত্যাশিত প্রচার
পায়নি।
কখনওই ব্রাজিলের পুরুষ দলের সঙ্গে মহিলা দলের তুলনা করলে চলবে না। ক্যাসেমিরো,
নেইমার, থিয়াগো সিলভা সমৃদ্ধ ব্রাজিলের দল যতটা পরিচিত বা প্রচার পায় বা তার ছিটে ফোটাও
জোটে না মহিলা দলের ক্ষেএে। এমনিতেই মহিলা ফুটবল ঘিরে মানুষের আগ্রহ কম। তার উপর পুরুষ
দলের তুলনায় সাফল্যে নিরিখে পিছিয়ে অনেকটাই মহিলারা। ব্রাজিলের সিনিয়র দলের প্রাক্তন
ফুটবলার তথা বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা যুব দলের কোচ সিমোনে তাই আক্ষেপের সুরে সাংবাদিকদের
বলেছেন, “ব্রাজিল নিয়ে আপনাদের আগ্রহ তুঙ্গে তা আমি এই দেশে এসেই বুঝতে পেরেছি। এটাও
জানি এই আগ্রহের কারণ পুরুষ দলের সাফল্য। মহিলা ফুটবল নিয়ে খুব বেশি উন্নতি আগে হয়নি,
যদিও বিগত দুই-তিন বছর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলের উন্নতিতে মন দিয়েছে।”
আরও পড়ুন: UEFA Champions League: রেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় পেল লিভারপুল, হাট্রিক করলেন সালাহ
আরও পড়ুন: UEFA Champions League: শেষ মুহূর্তে করা লেওয়ানডস্কির গোলে হার বাঁচালো বার্সা
প্রথম ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের কোচ সিমোনে বলেছিলেন, “যদি শক্তির বিচার করেন
তাহলে আমার মনে হয় আমেরিকা এবং ব্রাজিল এই গ্রুপ থেকে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য
ফেভারিট। তবে, ফুটবলে সব কিছুই সম্ভব।” ২০০৮ সালে এক বারই মাত্র ফাইনাল খেলেছিল আমেরিকা।
উত্তর কোরিয়ার কাছে তারা রানার্স হয়। অন্যদিকে, ২০১০ এবং ২০১২ সালে শেষ আট পর্যন্ত
পৌঁছেছিল ব্রাজিল।
আমেরিকার কোচ নাতালিয়া অ্যাস্ট্রিন জানিয়েছেন ভারতের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে
জিতলেও তাঁর দল নতুন করেই শুরু করবে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। আত্মতুষ্টির কোনও বিষয় নেই
আমেরিকানদের ডিএনএ-তে। তাঁদের ডিএনএ-তে রয়েছে অতীতকে দ্রুত ভুলে যাওয়ার তাগিদ।