আগামী বৃহস্পতিবার বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির শেষ টেস্ট ম্যাচ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলার জন্য এই ম্যাচ জিততেই হবে ভারতীয় দলকে। পাশাপাশি আহমেদাবাদে আয়োজিত এই ম্যাচটি সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচ। আসন্ন টেস্ট জিততে হলে ব্যাটিংই মূল ভরসা রোহিত বাহিনীর।
নাগপুর ও দিল্লি টেস্ট জেতার পর আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তবে ইন্দোরে ভারতীয় দলকে কার্যত কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে অজি বোলাররা। যদিও এই মাঠের পিচ নিম্নমানের বলে জানিয়েছে আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার এই বার্তা কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে ভারতীয় ব্যাটারদের। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচ দুই পক্ষের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলাররাও সুবিধা পাবেন। কিন্তু বাউন্ডারি বেশ খানিকটা বড়। তাই চার-ছয় বাদ দিয়ে সিঙ্গেলস এবং ডবলসের দিকে বেশি নজর দিতে হবে ভারতীয় ব্যাটারদের।
বৃহস্পতিবার রোহিত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। অর্থাৎ টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে পারে ভারত। বুধবার প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিত বলেছেন, "বিপক্ষের বোলাররা আমাদের উপর চড়াও হওয়ার আগেই আমরা পালটা মার দিতে প্রস্তুত থাকি। আর এটাই আমাদের ব্যাটিংয়ের পুরনো স্টাইল। বরাবরই আমরা এভাবে ব্যাট করি। কখনও সাফল্য পাই। আবার অনেক সময় ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়। কীভাবে বিপক্ষকে পালটা মার দিয়ে স্কোরবোর্ডকে সচল রাখতে হয় সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই । কারণ এটা জনসমক্ষে নিয়ে আসা উচিত নয়।"
গত টেস্টে কার্যত দাপিয়ে বেড়িয়েছেন টড মারফি এবং ম্যাথু কুহেনম্যান। সেই সঙ্গে নাথন লায়নও ভাল পারফরম্যান্স করেছেন। এই প্রসঙ্গে রোহিত বলেন, "চলতি সিরিজে টড মারফি ও ম্যাথু কুনেম্যান দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। ওদের বোলিং দেখলেই বোঝা যায় যে ওরা দু'জন একেবারে তৈরি হয়ে এখানে এসেছে। তাছাড়া ওদের সঙ্গে ন্যাথান লায়নের মতো অভিজ্ঞ স্পিনার রয়েছে। সেটা ওদের কাছেও বাড়তি পাওনা ছিল। একটা কথা মনে রাখতে হবে দুটি টেস্ট হেরেও ছন্দ বজায় রেখে বোলিং করা কিন্তু মোটেও জলভাত নয়।"