বাংলার ক্রিকেটে এক নজির বিহীন ঘটনা সামনে এল। সিএবি’র ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং টাউন ক্লাবের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি যিনি সামনে এনেছেন তিনি আরও কেউ নন, তাঁর নাম শ্রীবৎস গোস্বামী।

২০০৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের সদস্য শ্রীবৎস। যিনি দীর্ঘদিন বাংলার হয়ে খেলেছেন। সেই সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং বিরাট কোহলি’র সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আইপিএল’এ খেলেছেন তিনি।

ঘটনাটি কী?

সম্প্রতি নেটমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শ্রীবৎস। যেটি মূলত সিএবি’র সুপার ডিভিশন লিগের। ওই ভিডিও’তে দেখা গিয়েছে, ব্যাটিং করতে নামা মহমেডানের ব্যাটাররা ইচ্ছাকৃত ভাবে একের পর এক নিজেদের উইকেট দিয়ে আসছেন। কেউ স্টেপ আউট করে ছক্কা মারতে গিয়ে স্টাম্পড হচ্ছেন, তো কেউ আবার স্পিন বল ছাড়তে গিয়ে বোল্ড হচ্ছেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা (CAB)।

ভিডিওটি পোস্ট করে শ্রীবৎস ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কলকাতা ক্লাব ক্রিকেটে সুপার ডিভিশনের ম্যাচ। দুটি বড় দল এই কাজ করছে। কোনও ধারণা আছে কারও কী হচ্ছে? আমার দেখে লজ্জা লাগছে যে, এই খেলাটা আমিও হৃদয় দিয়ে খেলেছি। আমি ক্রিকেট ভালবাসি ও বাংলার হয়ে খেলা উপভোগ করেছি। কিন্তু এটা দেখে মন ভেঙে যাচ্ছে। ক্লাব স্তরের খেলা বাংলা ক্রিকেটের কাঠামো, এটাকে ধ্বংস করবেন না। এটাকেই গড়াপেটা বলে।’

একাধিক পরিবর্তন ভারতের স্কোয়াডে, সিরিজের শেষ টেস্টের দল ঘোষণা করল বিসিসিআই

চার বছরের জন্য নির্বাসিত বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসি তারকা

ঘটনার নেপথ্য কারণ?

জানা যাচ্ছে, হর্ষিত পটেল নামের এক ক্রিকেটার গত মরসুমে হরিয়ানার হয়ে খেলেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, ভিন রাজ্যের কোনও ক্রিকেটার বাংলার কোনও ক্লাবের হয়ে খেলতে চাইলে ৩১ অগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সংস্থা থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) এনে তা সিএবি-তে জমা দিতে হবে। হর্ষিতের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। তিনি নাকি চলতি মরসুমে ৩-৪টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। অভিযোগ, টাউন ক্লাবের কর্তা মহমেডানকে জানায় যে, যদি তাদের ম্যাচ ছেড়ে দেওয়া হয় তা হলে ওই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হবে না। সেই শর্তেই নাকি ওই ক্রিকেটার খেলেন। এর ফলে ম্যাচটি ড্র হয়। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে ৭ পয়েন্ট পায় টাউন ক্লাব। ৩ পয়েন্ট পায় মহমেডান। টাউন ক্লাবের সর্বময় কর্তা আবার সিএবি-র যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচটি ছেড়ে দেয় মহমেডান। এমনকী, তারা নিশ্চিত করে যাতে, ড্র ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭ পয়েন্টই পায় টাউন। সেই কারণেই নাকি এমন ভাবে নিজেদের উইকেট দিয়ে আসেন ক্রিকেটাররা।