রাত পোহালেই ডুরান্ড কাপ ফাইনাল। রবিবার, দীর্ঘ ১৯ বছর পর এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। ফুটবলে বাঙাল-ঘটির দ্বৈরথকে কেন্দ্র করে উন্মাদনায় ফুটছে শহর। এই আবহে জেনে নেওয়া যাক, ইস্ট-মোহনের মধ্যে ধারে ও ভারে এগিয়ে কোন দল।

পরিসংখ্যান বলছে, ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান প্রথম মাঠে নামে ১৯২১ সালের ৮ অগস্ট। কোচবিহার কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। সেই ম্যাচ ড্র করে তারা। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৯০ বার মুখোমুখি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। সম্মুখসমরের এই লড়াইয়ে মোহনবাগানের থেকে এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। মোট ১৩৮টি ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লাল-হলুদ। অন্যদিকে ১২৭ ম্যাচ জিতেছে মোহনবাগান। বাকি ১২৫টি ম্যাচ এখনও পর্যন্ত ড্র হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে দেয়। যা এখনও পর্যন্ত ডার্বির ইতিহাসে সর্বাধিক গোলের ব্যবধানে জয়। ডার্বিতে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৯টি গোল করেছেন বাইচুং ভুটিয়া।

ডুরান্ড কাপের ইতিহাসেও কিন্তু পাল্লা ভারী কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলের। চলতি মরসুমের একটি ডার্বি মিলে এখনও পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে মোট ২১বার মুখোমুখি হয়েছে ২ দল। এর মধ্যে রয়েছে ১১টি ফাইনাল। ইস্টবেঙ্গল মোট ৯টি ম্যাচ জিতেছে। মোহনবাগান ৭টি ম্যাচ জিতেছে।

 FIFA বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ আয়োজিত হবে ভারতের এই দুই শহরে, তালিকায় কি রয়েছে কলকাতা?

 ঘটি-বাঙালের দ্বৈরথ ঘিরে ফুটছে শহর, ডার্বিতে বিদেশি রেফারির পক্ষে সওয়াল কুয়াদ্রাদের, পাল্টা দিলেন ফেরান্দো

২০০৪ সালে শেষবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলেছিল লাল হলুদ। সেই ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। তবে এরপরে অবশ্য মোহনবাগান আরও একবার ডুরান্ড ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে শেষবার ডুরান্ড ফাইনালে পৌঁছে গোকুলামের কাছে হারতে হয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে।