দক্ষিণ আফ্রিকা’র বিরুদ্ধে ৩২ রান সহ এক ইনিংসে হার হজম করেছে ভারত। ১৯৯২
সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তাদের দেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে
পারেনি টিম ইন্ডিয়া। সদ্য সমাপ্ত টেস্টে হারের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে, জেনে নিন সেগুলি
কী?
মহম্মদ শামি’র অনুপস্থিতি-
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে অনুপস্থিত শামি। মূলত, চোটের কারণে
দলের বাইরে বাংলার পেসার। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ এই টেস্টে শামি’র মতো
পেসারের ঘাটতি হাড়ে-হাড়ে টের পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া।
প্রসিধ কৃষ্ণ ও শার্দুল ঠাকুরের ব্যর্থতা-
শামির ঘাটতি পূরণের দায়িত্ব ছিল প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং শার্দুল ঠাকুরের
উপর। কিন্তু তাঁরা চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেন। দুই জন মিলে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪০৮ রানের মধ্যে প্রায় অর্ধেক রান দিয়েছেন। শার্দুল ১৯ ওভারে দিয়েছেন ১০১ রান। ২০
ওভারে প্রসিদ্ধ দিয়েছেন ৯৩ রান। এই ১৯৪ রানের ধাক্কা সামলানো কঠিন
হয়েছে ভারতের পক্ষে। বুমরাহর ওভারগুলি কোনও
রকমে সামলে দেওয়ার পরেই শার্দুল বা প্রসিদ্ধকে পেয়ে মারকুটে ব্যাটিং
করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে পা ধোনি'র সতীর্থের
India vs South Africa: শাস্তির মুখে ভারতীয় দল, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ তালিকায় নিজেদের অবনতি কাটকাতে পারলেন না কোহলি'রা
রোহিত শর্মা’র নেতৃত্ব
রোহিতের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটে মুকেশ কুমার লাল বলে প্রসিদ্ধের থেকে ভাল খেলেছেন, তার পরেও তাঁকে বসিয়ে রাখা হল প্রথম টেস্টে। রঞ্জিতে বাংলার ধারাবাহিক ভাল ফল করার নেপথ্যে রয়েছেন মুকেশ। কিন্তু
শামির অনুপস্থিতিতে সুযোগ দেওয়া হল প্রসিদ্ধকে। সাদা বলের
ক্রিকেটে ভাল খেলা ক্রিকেটারদের দিয়ে লাল বলের দল গড়া কতটা ঠিক হচ্ছে, তা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠতেই পারে। ভারতের ওপেনিং জুটিতে রোহিতের ডেপুটি হিসেবে অধিকাংশ সময় দেখা গিয়েছে শুভমন’কে। সেই জায়গায় দক্ষিণ
আফ্রিকার মতো কঠিন সফরে তরুণ যশস্ত্রীকে শুরুতেই নামিয়ে দেওয়া এবং প্রথম বল খেলতে
পাঠিয়ে দেওয়া কতটা ঠিক, তা নিয়ে প্রশ্নের
মুখে পড়তে হবে ভারত অধিনায়ককে। পাশাপাশি টেস্ট
ক্রিকেটে আগ্রাসনের আলাদা একটি ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু রোহিত বরাবরই শান্ত এবং ধীর-স্থির।
এই সুযোগে ঠান্ডা মাথায় নিজেদের পরিকল্পনা মতো সব কিছু গুছিয়ে নিলেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা।
স্লিপে শুভমনের ফিল্ডিং
স্লিপে শুভমন একাধিক বার ক্যাচ ফেলেছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন এলগার। কিন্তু তা ধরার মতো জায়গায়
যেতেই পারেননি শুভমন। তিনি সময় মতো বলের নিচে আসতে পারেননি।
স্লিপে এই ক্যাচগুলি ধরলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কম রানে আটকে রাখা যেত।
ব্যাটিংয়ের স্থান পরিবর্তন-
ঘরের মাঠে ওপেন করা এবং বিদেশের মাটিতে ওপেন করার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
শুভমন দীর্ঘদিন ধরে রোহিতের সঙ্গে ওপেন করে আসছেন। কিন্তু আচমকাই তাঁকে প্রথমে ব্যাটিং
করতে পাঠানো হল না। অনভিজ্ঞ যশ্বসী জয়সওয়াল’কে ওপেন করানো হল। রেজাল্টও মিলল হাতে-নাতে।
টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩০ রানও সঞ্চয় করতে পারলেন না তরুণ বাম হাতি ওপেনার।