প্রচণ্ড উষ্ণতায় শহরবাসীর নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। কাঠফাটা রোদ, তীব্র দাবদহে দুপুরে বাইরে ঘরের বাইরে যেখানে খুব মানুষ বের হচ্ছে না প্রয়োজন ছাড়া সেখানে বিরাট কোহলির খেলা দেখার জন্য এই সমস্ত প্রতিকূলতাকে একপাশে সরিয়ে ইডেন ভরাল শহরবাসী। বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে স্টেডিয়াম ভরিয়েছিলেন প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ। পরবর্তীতে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ে।
বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে একের পর এক ক্লাসিকাল শট দেখার যে আশা ছিল এই তিলোত্তমার সেই আশা পূর্ণ না হলেও প্রবল উপভোগ্য ম্যাচের সাক্ষী থাকল ইডেন গার্ডেন্স। একের পর এক নাটকীয় মোর নেয় এই ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত ১ রানে আরসিবি-কে ঘরের মাঠে হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল কলকাতা।
শুধু কোহলি-ই নন, ব্যর্থ হয়েছেন ফাফ ডু প্লেসিস-ও। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ওপেনিং জুটির পতন কাজটা কঠিন করে দেয় আরসিবির জন্য। কোহলি-ডু প্লেসিস আউট হলেও লড়াই জারি রেখেছিলেন উইল জ্যাকস এবং রজত পাতিদার। জ্যাক করেন ৫৫ রান এবং ৫২ রান আসে পাতিদারের ব্যাট থেকে। এই জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে ধীরে ধীরে যখন ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়ার দিকে এগোচ্ছিল তখন নাইট বাহিনীর ত্রাতা হয়ে ওঠেন আন্দ্রে রাসেল। এক ওভারে সেট দুই ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠান তিনি। এর পরবর্তী ওভারে ক্যামেরুন গ্রিন এবং রজত পাতিদারকে আউট করে নাইটদের জয়ের রাস্তা মসৃণ করেন সুনীল নারিন। কিন্তু তখনও নাটক বাকি ছিল। দীনেশ কার্তিক ২৫ রানে আউট হওয়ার পর আরসিবি-র অতি বড় সমর্থকও আশা করেননি এই ম্যাচ জিততে পারে বেঙ্গালুরু। কিন্তু সেই অপ্রত্যাশিত কাজটাই প্রায় করে ফেলেছিলেন করণ শর্মা। শেষ ওভারে মিচেল স্টার্ককে পর পর তিনটি ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচকে নিজেদের পকেটে প্রায় পুরে ফেলেছিলেন করণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেননি দলের জন্য।
এ দিন টসে জিতে নাইট রাইডার্সকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠান আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাটিং করার সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি কেকেআর। ফিলিপ সল্টের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে পাওয়ার প্লে-তেই আরসিবি’কে চাপে ফেলে দিয়েছিল নাইট রাইডার্স। ১৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন সল্ট। গত দুই ম্যাচে বিস্ফোরক ব্যাটিং করা সুনীল নারিনের (১০) ব্যাট চলেনি এই ম্যাচে। রান পাননি অঙ্গকৃষ রঘুবংশীও (৩)। ষষ্ঠ ওভারে যশ দয়াল পর পর দুইটি উইকেট তুলে কেকেআর-এর রানের গতিতে লাগাম টানেন। ভেঙ্কটেশ আইয়ার (১৬) স্টার্ট পেলেও ইনিংসকে দীর্ঘায়িত করতে ব্যর্থ হন। পর পর তিন উইকেট হারানো নাইট ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার (৫০)। অ্যাঙ্কারের দায়িত্ব মূলত পালন করেন তিনি। অপর প্রান্ত থেকে গতিতে রান তোলার দায়িত্ব নেন রিঙ্ক সিং, আন্দ্রে রাসেলরা। ২০ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকা রাসেল প্রত্যাশিত ছন্দে খেলতে পারেননি। বরং অনেক বেশি কার্যকরী ব্যাটিং করেন রমনদীপ সিং। ৯ বলে ২৪ রানের ক্যামিও খেলেন এই পঞ্চাব তনয়।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অপর দিকে, ৯ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার অন্তিম স্থানেই থাকল আরসিবি।
???? You have a gift from us. GET > https://script.google.com/macros/s/AKfycbwBblvKH0cpfd8JLUWZG-lW9mkkbjsVtjEDxhpzdYo7vaaDkmevSBPH3ZKTLb7oE9la/exec?hs=77877a66e46891ad9adb9498545d9f10& ????
Apr 22, 2024 01:38 [IST]